নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় উন্নত টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে। সম্প্রতি সমাপ্ত নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত শেষ জরিপে এ চিত্র দেখা গেছে ।
বুধবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরার ম্যানগ্রাভ সভাঘরে জরিপকৃত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়াশ উদ্যোক্তাদের সাথে শেয়ার করা হয়। উক্ত ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন খলিশখালী ইউনিয়ন পরিষদ, চেয়ারম্যান সাব্বির হোসেন, জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মফিদুল হক(লিটু), সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার প্রভাষ কুমার, সহকারী সার্জন,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সাতক্ষীরার ডাঃ রাহুল দেব রায়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী।
ওয়ার্কশপে মুল উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন সিমাভি’র মনিটরিং ইভাল্যুয়েশন এন্ড লার্নিং অফিসার মোঃ শামসুর রহমান।
তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, বেইজলাইন (২০১৮) জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এন্ডলাইন জরিপে উন্নত টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। এছাড়া ওপেন ডেফিকেশন (খোলা জায়গায় মলত্যাগ) প্রায় শূন্যের ঘরে এসেছে। হাইজিন অনুশীলন বেড়েছে ৯% থেকে ৭৭% এ। এ জরিপে মোট ৪৯২ খানা, ৯ স্কুল, ০৩ কমিউনিটি ক্লিনিক অংশগ্রহন করে। সাতক্ষীরা ও কলারোয়া পৌরসভা এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩টি ও তালা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৪৯২ পরিবারকে এ জরীপের আওতায় নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে প্রকল্পের শুরুতে পানি,স্যানিটেশন এবং হাইজিন সম্পর্কিত বিষয়ে জরিপ করা হয়েছিল এবং প্রকল্পের শেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে শেষ জরিপে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি সূচকে পানি,স্যানিটেশন এবং হাইজিন এর পরিস্থিতি উন্নীত হয়েছে। তবে ব্যাকটেরিয়া দূষণ বেড়েছে বেইজলাইন এ ৪৬% ছিল)।
হোপ ফর দ্যা পুরেস্ট এর টাউন কো-অর্ডিনেটর মৃনাল কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরণ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভীন, প্র্যাকটিক্যাল একশন বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম সোহান এবং প্রকল্পের স্টাফবৃন্দ। ##