নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা শহরের কদমতলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের উদ্যােগে বিনামূল্যে ও স্বল্প মুল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ব্রাক ও খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের বাস্তবায়নে বিনামূল্যে ও স্বল্প মুল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কদমতলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে কদমতলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম হোসেনেের সার্বিক পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম। এসময় প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক একটি মহান পেশা এবং সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। সাংবাদিকরা সমাজে অবহেলিত মানুষের নানা সমস্যার বিষয়ে তুলে ধরেন বলে নানা ধরনের উপকরণ ও সেবা পেয়ে থাকেন। আমি দেখেছি কদমতলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক কর্মকান্ড ও মানুষের সেবা করে আসছে। ব্রাক ও খুলনা বিএনএসবি হাসপাতাল শিরোমনির সহযোগিতায় কদমতলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উদ্যােগ নিয়ে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন এটি একটি মহৎ কাজ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি গোলাম রসুল রাসেল, জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, জেলা ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রমূখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান মধু, জিএম রেজাউল করিম রেজা, শাহানারা খাতুন, জাহাঙ্গীর আলম, পৌর ভুমিহীন সমিতির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, লাবসা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম প্রমূখ। ব্রাক ও খুলনা বিএনএসবি হাসপাতাল শিরোমনির তত্বাবধানে উক্ত চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে রোগীদের সার্বিক চক্ষু সেবা প্রদান করেন খুলনা বিএনএসবি হাসপাতাল শিরোমনির এজেন্ট সার্জন দন্তা সাহা, ডাঃ খান নাহিদ মুরাদ অনিক, রিলেশন শিফ অফিসার মীর মিজানুর রহমান, ব্রাক খুলনার সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার মাহবুবুর রহমান প্রমূখ। উক্ত চক্ষু ক্যাম্পে সকাল ৯ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিনামূল্যে ৩৩৯ জন রোগী দেখেন এবং যাচাই-বাছাইে ৭৮ জন চক্ষু ছানি রোগী অপারেশন করা হয়।