মেহেদী হাসান আটুলিয়া শ্যামনগর:
শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওয়ালভাঙ্গী ও কাশিমাড়ি ইউনিয়নের খুঁটিকাটা গ্রামের চাষের জমিতে ধান চাষের পর তরমুজের চাষাবাদ করা হয়েছে। সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় মাঠে অসংখ্য তরমুজ পড়ে আছে। তরমুজ চাষী কেনারাম মন্ডলের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর তারা তরমুজের দুটি জাত লাগিয়েছিলেন।তার মধ্যে একটি জাত ড্রাগন অন্যটি জাম্বু গোয়ালিয়া।এতে তারা আশানুরুপ ভালো ফলন পেয়েছেন।বিঘা প্রতি ৬০ মন করে তরমুজ পেয়েছেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।
এক বিঘা জমিতে তাদের তরমুজ উৎপাদনের জন্য খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আরেকজন চাষী সুরজ মন্ডলের কাছ থেকে জানা যায়, তাদের ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু পানির অভাবে তারা পর্যাপ্ত পানি সেচ দিতে পারে নাই।এজন্য তারা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে খাল খনন করে অথবা ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করে তাদের পানি সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেখানে চাষীদের অভিযোগ থাকবে সেখানে সরকারি অনুদানের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পানি,সার ও কীটনাশকের ব্যবস্থা করব। এলাকাবাসী বলেন আমাদের হাওয়ালভাঙ্গী এবং খুঁটিকাটা গ্রামের তরমুজের চাহিদা ব্যাপকহারে বাড়ছে। যদি সর্বত্র প্রচার প্রচারণা চালানো যায় তাহলে আমাদের এলাকার তরমুজের চাহিদা পূরণ করেও বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে।