নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত ১৭ বছরে সাতক্ষীরার মানুষ সব চেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। দেশের মধ্যে সাতক্ষীরার একজন সংসদ সদস্যের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি এই জনপদের সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল। সাতক্ষীরার মানুষের উপর তারা জুলুম করেছে, খুন করেছে,পঙ্গু বানিয়েছেন, ইজ্জতের উপর হাত দিয়েছে, সম্পদ লুটপাট করেছে। মানুষকে তারা তাদের দাশে পরিণত করেছে। সারাদেশে একই অবস্থা ছিলো। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিলো সাতক্ষীরায়।
শনিবার দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা জামায়াতের কর্মী সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এখানে শত শত মানুষ ফ্যাস্টিটের অত্যাচারে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে। আমাদের সন্তানদের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু বাংলার আকাশে কিছু শকুন ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। শকুনের দিকে তীর্যক দৃষ্টি রাখতে হবে। কোন শকুনকে মাটিতে নামতে দেওয়া যাবে না।
আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চায় যেখানে কেউ চাইলেও তার অধিকার পাবে। না চাইলে পাবে। এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চায়, যেখানে আমার মা বোনেরা ঘরে, বাইরে এবং রাস্তাঘাটেও সুরক্ষিত থাকবে। তারা থাকবে মর্যাদার সাথে। আমরা বাংলাদেশের দায়িত্ব যুব সমাজের হাতে তুলে দিতে চায়।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাও: ইজ্জত উল্লাহ, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মুহাদ্দিস রবিউল বাসার, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, খলিলুর রহমান মাদানী সহ অন্যরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন,জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নূরুল হুদা, মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যক্ষ মাও: মশিউর রহমান, খুলনা মহানগরের আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমীর মাও: রেজাউল করিম, জেলার সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুল আলম,গাজী সুজায়েত আলী, অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ, প্রভাষক ওমর ফারুক, মাও: ওসমান গনি, শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইনামুল ইসলাম। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আজিজুর রহমান।
পূর্ববর্তী পোস্ট