নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল ভোটের অধিকার ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমরা কোন অধিকার পাইনি। তাদের কথা ছিলো আমার ভোট আমি দেবো যাকে ইচ্ছা তাকে দিবো। কিন্তু তারা সেটিকে উল্টিয়ে করল, আমার ভোট আমি দেবো, তোমারটাও আমি দেবো।
স্বৈরাচারীরা কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। প্রথমবার স্বাধীন হয়ে আমরা কিছুই পাইলাম না। দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়ে একটি সুফল পেয়েছি সেটি হল আগে কথা বলতে পারতাম না, এখন কথা বলতে পারি। কিছু জালেম পালিয়ে গেলেও জুলুম এখনো বন্ধ যায়নি। যতদিন আল্লাহর আইন চালু হবে না, তত দিন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। মানুষের তৈরি আইন দিয়ে যারা বার বার মানুষকে ঠকিয়েছে, জুলুম করেছে, ব্যবসা করে, রাজনীতি করেছে বাংলাদেশে তাদের জায়গা হবে না। তিনি আরো বলেন তৃতীয় স্বাধীনতার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই স্বাধীনতার লক্ষ্য হবে মানুষের আইনকে আর বাংলাদেশে চলতে দেওয়া হবে না। কোরআনের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ চলবে।
বুধবার বিকাল ৪টায় আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলার আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শুরু সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা জামায়াতের নাবেয়ে আমীর শেখ নুরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুল আলম, প্রভাষক ওমর ফারুক, জেলা কূর্মপরিষদ সদস্য এড. আব্দুস সুবহান মুকুল,এড. আব্দুস সুবহান মুকুল, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য সাতক্ষীরা শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, জেলা অফিস সেক্রেটারী রুহুল আমিন,চেয়ারম্যান আবু বক্কর, দেবহাটা উপজেলা আমীর মাওলানা ওলিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ আলী,ডা.নূরল মামিন, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওঃ নূরুল আবছার মোর্তসজা, সেক্রেটারী মাওলানা আনওয়ারুল হক, কর্ম পরিষদ সদস্য এপিপি এ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, নায়েবে আমীর আব্দুল মান্নান,সহ সেক্রেটারী প্রফেসর শাহজাহান আলী, ডাঃ রোকনুজ্জামান, মাওলানা আব্দুল বারী, সাবেক সেক্রেটারি এবিএম আলমগীর পিন্টু, পেশাজীবী বিভাগের সভাপতি মাওঃ আতাউর রহমান ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ—সভাপতি মাসুম বিল্লাহ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আশাশুনি জামায়াতের কর্মী সমাবেশ হওয়ায় নেতাকর্মীরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত। সকাল ৯টায় জামায়াতের মহিলা কমীর্ সম্মেলনেও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরে দুপুর আড়াই টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতাকর্মীদের পাদচারণায় মুখর হয় আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ । ব্যানার—ফেস্টুন নিয়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে মিছিল সহকারে অংশগ্রহণ করেন নেতাকর্মীরা।