নিজস্ব প্রতিনিধি :
দোকান ভাড়ার টাকা চাওয়ায় মাথা আঘাতের ৩৫ দিন পর ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার হোসেন তুরান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গোয়ালচাতর গ্রামের মৃত আবদুল হামিদ সরদারের ছেলে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের নিজ বাড়িতে তুরান মারা যান।
তুরানের চাচা আবদুর রশিদ সরদারের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, তুরানের কাজীরহাট বাজার কমিটির দীর্ঘদিন সম্পাদক ছিলেন। জুলাই-আগস্টে রাজনীতির পট পরিবর্তনের পর সস্প্রতি বাজার কমিটির জবরদস্তির কমিটিতে তুরানকে কাঙ্খিত পদে রাখা হয়নি। এই নিয়ে তুরানের নেতৃত্বে পাল্টা বাজার কমিটি গঠনও হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি কাজীরহাট বাজারে দোকানের ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে কাটাকাটির জেরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম। এতে তুরান গুরুতর জখম হন এবং মাটিতে পড়ে যান। বাজারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
মাথায় আঘাতের কারণে তুরান ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে স্ট্রোক করেন। তাৎক্ষণিক তাঁকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে উন্নতি না হওয়ায় খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করে মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখান থেকে বাড়ি আসার পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তুরান।
এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী মনিরুলের ব্যবসায়ী অংশীদার মফিজুল ইসলাম ও কাজীরহাট বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আসানুর রহমান বলেন, মনিরুলের কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মনিরুল গিয়ে তুরানের মাথায় আঘাত করেন। তুরান স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।
কাজীরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় তিনি পার্শ্ববর্তী শার্শা উপজেলার নাভারণে ছিলেন। ফোনে টাকা নিয়ে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরেছেন। পরে কোনো পক্ষ তাঁকে কিছু জানায়নি। ফলে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
কলারোয়া থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, কি কারণে তুরানের মৃত্যু হয়েছে সেটি ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বলা যাবে না। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে একটি হত্যাকান্ড। ১২ ফেব্রুয়ারী তার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এতে তিনি মাথায় আঘাতও পেয়েছিলেন। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।