জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়ে চলমান তাপমাত্রা বৃদ্ধির আত্মঘাতী সর্বনাশ থেকে দুনিয়াকে বাঁচাতে চাইলে মানবজাতির হাতে আর মাত্র তিন বছর সময় আছে। একথা বলেছে বিখ্যাত সাময়িকী নেচার।
পরিবেশ-জলবায়ূ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষয়ে খ্যাতিমান এই পত্রিকা সম্প্রতি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের বরাতে জানায়, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ ইতবাচক হারে কমিয়ে আনার কাজ শুরু করতে এখন আর মাত্র ৩বছর সময় হাতে আছে। এ সময়সীমার মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের নির্গমণ কমানো না গেলে প্যারিস ঘোষণায় বিশ্বের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ূ পরিবর্তন আর পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নিরীখে আগামী ২০২০ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে। নেচারে ছাপা ওই প্রতিবেদনে বিশ্বের নামী-দামী ৫০ জন বৈজ্ঞানিক স্বাক্ষর করেছেন।
প্রতিবেদনে বৈজ্ঞানিকরা তাদের আশঙ্কার পক্ষে প্রমাণাদিসহ বিশ্বের সকল রাষ্ট্রপ্রধান ও নেতাদের কাছে আর্জি করেছেন যে, তারা যেন এর থেকে মুখ ঘুরিয়ে না রাখেন। এতে আরও বলা হয়, জৈবচক্রের সকল ক্ষেত্রে ধ্বংস সাধনের সূচনা শুরু হয়ে গেছে। আর্কটিক অঞ্চলে সঞ্চিত বরফ ভাণ্ডার উষ্ণতার কারণে হারিয়ে গেছে। আর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে সাগরের প্রবাল প্রাচীরগুলোও বিনাশ হয়ে যাচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের উদগীরণ যদি চলমান মাত্রায় থাকে তবে এত পরিমাণে কার্বন তৈরি হবে যে আগামী ৪ থেকে ২৬ বছর সময়কালের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা দেড় থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে।
এরকম পরিস্থিতি হলে তা বিশ্বের মানুষসহ অপরাপর জীবগজতের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গত, ১৮৮০ সাল থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত সময়ে মানুষের অপরিণামদর্শী নানান কর্মকাণ্ডের ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে।