প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার দোকান লুটপাটের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শহরের মুনজিতপুর গ্রামের আব্দুস সবুরের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমরা হত দরিদ্র পরিবারের মানুষ। ইতোপূর্বে আমার স্বামী শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। আমার পরিবারের অর্থনৈতিক দৈন্যতা ঘুচানোর জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আনন্দ উন্নয়ন সংস্থা’র মাধ্যমে জিআইজেড এর অর্থায়নে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে পাকাপোল মোড়ের পাশে প্রাণ সায়র খালের ধারে সবজি চাষ প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের জন্য একটি দোকান নির্মান করে দেন। সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন, নগর উন্নয়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মিলন, এনজিও প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা পৌরসভার ফান্ডে বার্ষিক অনুদান জমা দেওয়ার শর্তে আমাকে ওই দোকানটি হস্তান্তর করেন।
আমি সেখানে সবজি চাষ শুরু করলেও প্রাণ সায়ের খালের লবনাক্ত পানির কারনে সবজি চাষ বন্ধ হয়ে যায়। পরে পৌরসভার অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সেখানে আমার স্বামী চা, কফি, সরবত বিক্রি শুরু করেন। দোকানে প্রায় ১০ থেকে ১২লক্ষ টাকার মালামাল উত্তোলন করা হয়। ব্যবসা ভালোই চলছিল। কিন্তু ২০২৫ সালের ১৬ মে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযানে যান ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয়ন কুমার বিশ^াস। সে সময় আমার স্বামী চিকিৎসার জন্য খুলনায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় দোকান না ভেঙে দোকানের তালা ভেঙে রক্ষিত মালামাল নিয়ে যায় পৌরসভার কর্মচারীরা। কিন্তু দোকানঘর ভাঙতে বা সরাতে কোন নির্দেশনা দেননি। আমাদের স্বালম্বী করতেই জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষই আমাদের সেখানে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিয়েছিল। সে কারনেই ঋন-দেনা করে আমরা বিনিয়োগ করেছি।
এখন স্বাবলম্বী হওয়ার পরিবর্তে আমরা এখণ নি:শ^ হওয়ার পথে। ওই দোকান দেওয়ার সময় শর্ত ছিলো সরকারি কাজে দোকান ভাঙার প্রয়োজন হলে তিনমাস পূর্বে আমাদের নোটিশ দিবে। কিন্তু তা না করে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমাদের দোকানের তালা ভেঙে মালামাল নিয়ে যাওয়া হলো। যা আমাদের মত গরিব অসহায় পরিবারের সাথে চরম অন্যায় করা হলো। এরপর আমার স্বামী মালামাল ফেরত পাওয়ার দাবিতে পৌরসভায় গেলে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী (সিও) এর পরামর্শে পৌরসভার প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করলে ২৬/৫/২০২৫ তারিখে তিনি ফেরতের নির্দেশ। কিন্তু দেড় মাস ধরে ঘুরে ঘুরেও দোকানঘর ও মালামাল ফেরত দেয়নি পৌরকর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন মাধ্যমে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দোকানঘর ফেরত দেওয়ার জন্য আমার স্বামীর কাছে অনৈতিক সুবিধা দাবি করে, দাবি মোতাবেক সুবিধা না দেওয়ায় তারা আমার দোকানঘর ও মালামাল না দিয়ে আটকে রেখেছে।
এদিকে আমাদের ব্যবসাও বন্ধ আবার মালামালও আটকানো থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা চরম দুর্ভোগে জীবন-যাপন করছি। এবিষয়ে ন্যায় বিচার পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। ##