নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদরের এল্লারচরে পোস্ট অফিসের জায়গা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক দখল করে দোকানঘর ও বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।
সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের এল্লাচর বাজারে অবস্থিত এল্লারচর পোস্ট অফিসের নামে বালিথা এল্লাচর মৌজায় ২৪৬ নং দাগের, ৭নং খতিয়ানে ১০ আগস্ট’১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডাক বিভাগের নামে ০৩ শতক জমি রেকর্ড করা হয়। অথচ সরেজমিনে উক্ত জায়গা না থাকায় পোস্ট অফিসের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরৎ যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে সদর উপজেলার ওই এলাকার যে কোন ধরনের চিঠি, মানি-অর্ডার, পে-অর্ডার, লিগ্যাল নোটিশসহ, পোস্ট অফিস সংক্রান্ত যেকোন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এল্লাচর বাজারে একটি দোকানঘরে ঢেলামেশাভাবে ডাকঘরের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে পোস্ট মাস্টার আক্তারুল ইসলাম। বর্তমানে পিওন জয়দেব বাবু রাস্তার পাশের অন্য একটি কম্পিউটারের দোকানে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
জানা যায়, ডাকঘরের পাশে একটি বসত ঘর, বিথিকা জুয়েলার্স ও অনিক লাইট হাউজ নামে ২টি দোকান রয়েছে যা ওই এলাকার প্রভাবশালী নিমায় চন্দ্রের দখলে। ডাক ঘরের জায়গা ০৩ শতক হলেও বাস্তবে ০১ শতকেরও কম জায়গায় ১টি অব্যবহার যোগ্য পাকা ডাকঘর আছে। দীর্ঘদিন ঘরটি পরে থাকা এবং সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ডাকঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়। সে মোতাবেক কাজ শুরু করতে যেয়ে সরেজমিনে জায়গা না থাকায় উক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরৎ যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানাগেছে। এলাকাবাসী জানায় পোস্ট অফিসের ওই জায়গাটি ১৯৮৮ সালের আগে হিন্দু জমিদারদের মাঠ ছিল। ১৯৮৮ সালে সার্ভেয়ার আসলে তৎকালীন মেম্বর সন্তোষ সিং পোস্ট অফিসের নামে ওই ০৩ শতক জায়গা লিখে দিয়ে যায়। পরবর্তীতে পোস্ট অফিসের জায়গা দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী নিমায় চন্দ্র বিথিকা জুয়ের্লাস ও অনিক লাইট হাউজ নামে ২টি দোকান গড়ে তোলে। কিছু কুচক্রী ব্যক্তিদের জন্য পোস্ট অফিসের জন্য টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ না হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তাদের দাবি পোস্ট অফিসের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরৎ গেলে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চিরতরে বিলুপ্ত হতে পারে। ওই এলাকার সর্বস্তরের মানুষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করে পোস্ট অফিস ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করার আহবান জানিয়েছেন।
এঘটনায় ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুর রহমান বলেন, “জায়গাটি পোস্ট অফিসের নামে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু পোস্ট অফিসের কোন ভবন ছিলো না। অনেক আগে পোস্ট মাস্টার বটতলায় বসে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করতো এবং বট গাছে বক্স ঝুলানো ছিলো। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি সমিতির ঘরে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আমারও চাই পোস্ট অফিসের ভবন নির্মাণ করা হোক।”