মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপি নেতা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। আর বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক এ তথ্য জানান।
এর আগে তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোর ও শেরপুরের ১৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ প্রভৃতি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। তিনি দুটি প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
সানাউল হক বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
ওসমান ফারুক ও মুসা বিন শমসের সম্পর্কে সানাউল হক বলেন, ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত ও অনুসন্ধানের ফলাফল পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
গত বছরের ৪ মে সানাউল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ময়মনসিংহের তৎকালীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষকের বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষকেরা তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ওসমান ফারুকের নাম রয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৯ মার্চ সানাউল হক মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের কোনো তথ্য থাকলে তা তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ও সাগর লোহানী মুসার বিরুদ্ধে ৬ এপ্রিল তদন্ত সংস্থার কাছে প্রতিবেদন আকারে জমা দেন।
সেই আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসা বিন শমসের ফরিদপুরে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জনকণ্ঠ পত্রিকার ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকাকালে প্রবীর সিকদার অনুসন্ধান করে মুসার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ নিয়ে ওই পত্রিকায় প্রতিবেদন করেন। এরপর সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করতে হামলা চালায়।
সূত্র : প্রথম আলো।