দারুচিনি শুধু রান্নার স্বাদ আর গন্ধ বাড়াতেই সাহায্যই করে না, এর রয়েছে অনেক গুণও। আপনার অসুখ সারাতেও এটি সমান কার্যকর। জ্বর, পেটব্যথা বা এজাতীয় সমস্যা সারাতে দারুচিনি খেতে পারেন। দারুচিনিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কয়েক ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। এমনি এমনি বা রান্নার মসলা হিসেবে তো দারুচিনি খাওয়া যায়ই, পাশাপাশি খেতে পারেন চায়ের সঙ্গে। দারুচিনিতে প্রচুর মিনারেল ও ভিটামিন রয়েছে। এতে সামান্য প্রোটিনও আছে।
টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি খুব উপকারি। কারণ, এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ। মজবুত হাড়, রক্ত ও দেহের অন্যান্য টিস্যু গঠনে সাহায্য করে। বাতের ব্যথায় দারুচিনির তেল বা চা উপকারি। ব্যথা কমাতে দারুচিনি ও মধু দারুণ কাজ করে। হাড়ের জোড়ায় ব্যথা হলে হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু ও দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় আস্তে আস্তে মালিশ করলে ব্যথা কমবে।
দেহের রক্ত তরল থাকতে সাহায্য করে দারুচিনি। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে দারুচিনি। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পৃথিবীর সেরা সাত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দারুচিনি। শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এই মশলা কার্যকর।
খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে দারুচিনি খেলে উপকার পাওয়া যায়। পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস দমন করে। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসাবে কাজ করে। দারুচিনি ও মধু পেটে ব্যথা কমায়। অ্যাসিডিটি দূর করে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার, মেলানোমা বা ত্বকের মেলানিন কোষ মিলে যে টিউমার হয়, তার সম্ভাবনা কমায় দারুচিনি। লিউকোমিয়া ও লিমফোমা ক্যান্সারের কোষগুলোর প্রভাব কমায়।