হাসান হাদী : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সারা দেশে শোকাবহ পরিবেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ এর পর দীর্ঘকাল ব্যাপি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবছর এই দিবসটি স্বল্প পরিসরে পালন করলেও ব্যাপকভাবে পালন হতো না।
কিন্তু বর্তমানে সারাদেশের সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে এ দিবসটি শোকাবহ পরিবেশে পালিত হচ্ছে। সাতক্ষীরাতেও এই দিবসটি শোকাবহ পরিবেশে পালিত হয়েছে। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থায় তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। শোক দিবস উপলক্ষ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় কোন প্রকার আলোচনাসভা বা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার মত সংগঠনে এ দিবসটি পালন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটিরই একাধিক সদস্য। তারা বলেন বর্তমান ক্রীড়া সংস্থার নেতৃত্ব রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে এ বিষয়ে উদাসীন থাকায় এমনটি ঘেটেছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বহী সদস্য আলতাফ হোসেন জানান, তাকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ এ সংক্রান্ত কোন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বলা হয়নি তাই তিনি জানেন না আদতে এদিন কোন অনুষ্ঠান ছিল কি না।
তবে ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কেএম আনিসুর রহমান অবশ্য দাবি করেছেন তিনি শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠান করেছেন সাওজক্রীস অফিসে। কিন্তু সংস্থাটির কার্যকরী কমিটির একাধিক সদস্য তার এ দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন। তারা বলেন, সংগঠনের সদস্যরা জানেন না, অথচ সাধারণ সম্টাদক বলছেন তিনি শোকদিবস পালন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সচেতন মহলে ধ্রমজালের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শোক পালন হয়েছে কি হয়নি তা আমার জানা নেই।
ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের জানান, ওই দিন আমি খুলনায় ছিলাম। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি অনুষ্ঠান হয়েছিল।
সদস্য সৈয়দ জয়নাল আবেদিন জসি ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় আমরা ব্যানার টানিয়ে অনুষ্ঠান করেছি। অতিথি হিসাবে কারা উপস্থিত ছিলেন জানতে চাইলে তিনি কারও নাম জানাতে পারেননি।
এদিকে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসে সকাল টার দিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ে গিয়ে অফিস বন্ধ দেখতে পেয়ে মোবাইল ফোনে সেখানকার ছবি তোলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন। তিনি জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থা একটি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। অথচ সেখানে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়নি। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমি নিজে কাদের ভাইকে তাৎক্ষণিক ফোন করেছিলাম। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন ক্রীড়া সংস্থায় শোক দিবসের কোন কর্মসূচি পালিত হয়নি।