প্যারিস সেন্ত জার্মেইতে নেইমার গেলেন। তার অভাব ভালোভাবে বার্সেলোনা টের পেয়েছিল স্প্যানিশ সুপার কাপে। তাদের ত্রিফলা আক্রমণ ভেঙে পড়ার প্রভাব পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুই লেগে। ৩-১ ও ২-০ গোলে বার্সা হেরে যায় এল ক্লাসিকো। তাই লা লিগা ছিল তাদের স্বস্তি ফেরানোর মঞ্চ। স্বস্তি ফিরেছেও, লিওনেল মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে অনুপ্রাণিত বার্সেলোনা ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল বেতিসকে।
রবিবার ন্যু ক্যাম্পে শুরু হয়েছিল বার্সেলোনার লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াই। গত বৃহস্পতিবার বার্সেলোনা শহরে ভ্যান হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় এ ম্যাচ। এক মিনিটের নীরবতা পালন করেছিল দুই দল। স্বাগতিক খেলোয়াড়দের জার্সিতে ছিল না কোনও নাম, ছিল ‘বার্সেলোনা’ লিখা। এমন আবেগের এক ম্যাচে সব প্রত্যাশার চাপ ছিল মেসির ঘাড়ে। এদিন যে ছিলেন না ইনজুরি আক্রান্ত লুই সুয়ারেস। আর্জেন্টাইন তারকা সব চেষ্টা করে গেছেন জাদুকরী পারফরম্যান্স দিয়ে। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারেননি। বেতিসের রক্ষণে ঢুকে কয়েকবার লক্ষ্যে শট নিলেও ভাগ্য সহায় হয়নি তার। কখনও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক, কখনও বা গোলপোস্ট তার জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। তবে সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় তার দল জিতেছে।
অবশ্য ৩৫ মিনিটে বার্সেলোনার এগিয়ে যাওয়ার পেছনে কিছুটা হলেও অবদান ছিল মেসির। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী ডিবক্সের বাইরে থেকে পাস দেন দেউলোফুকে, এর পর এগিয়ে যান গোলপোস্টের বেশ কাছে। দেউলোফু তার দিকে বল বাড়িয়ে দেন, কিন্তু মাঝ পথে এলিন টোস্কার বাঁপায়ের টোকায় বল জড়িয়ে যায় জালে। যে গোল হতে পারতো মেসির, সেটা হয়ে যায় আত্মঘাতী। এর আগের মিনিটেই মেসির বাঁপায়ের ফ্রিকিক ব্যাকপোস্টে লেগে ফিরে যায়। চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের কঠিন চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে দেউলোফু ডানপ্রান্ত থেকে বল বাড়িয়ে দেন সার্জি রবার্তোকে। জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন রবার্তো। ওই দুই গোলেই মীমাংসা হয় ম্যাচের ফল।
৫৯ মিনিটে মেসি নাম লিখতে পারতেন গোলদাতার খাতায়। তার দুর্দান্ত শট আবার গোলপোস্টে লেগে ব্যর্থ হয়। ৭১ মিনিটে তার ফ্রিকিক চলে যায় ক্রসবারের কয়েক ইঞ্চি উপর দিয়ে। ম্যাচে তৃতীয়বার মেসির শট গোলপোস্টে লাগে ৮১ মিনিটে। ১৬ গজ দূর থেকে নেওয়া তার শট বাতাসে ভেসে গিয়ে লাগে পোস্টের বেশ উপরে। এমন সব সুযোগ নষ্ট করার পরও মেসির মুখে ছিল হাসি। কারণ তার কাছে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে তো দল সবার আগে!