আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা নির্বাহী নির্বহী অফিসার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা এলাকা পরিদর্শনকালে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
গুনাকরাকটি (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের ডাঃ গোবিন্দ প্রসাদ চৌধুরী, অবঃ শিক্ষক পবন চৌধুরীসহ গ্রামের ৩০টি পরিবার বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধাতার মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এনিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করা হলে ইউএনও ঘটনাস্থানে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাইদ ঢালীসহ এলাকাবাসির ্উপস্থিতিতে জলাবদ্ধাতার কারণ ঘের মালিক আব্দুল্লাহর নিয়ন্ত্রনে থাকা রাস্তার পাইপের মুখ খুলে দেওয়া হয়। ফলে পানি নিস্কাশনের প্রতিবদ্ধকতা দূর হয়ে যায়। একই সাথে সড়কের পাশ দিয়ে ভবিষ্যতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পাইপ স্থাপন এবং সাদুল্লাহ চৌধুরীর সীমানা বাঁধ অপসারনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে গুনাকরকাটি (পূর্ব পাড়া) দীর্ঘকালের পয়ঃ নিস্কাশন পথ (ভাঙাড়) স্থানীয় জালাল উদ্দিন দিং আটকে দেওয়ায় এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আবু তালেব দিং প্রতিকারের দাবীতে ইউএনও বরাবর আবেদন করেন। বুধহাটা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আঃ বারী সরকারি আমিন নিয়ে জমি পরিমাপ করে খাস জমি অবৈধ দখলের ফলে জলাবদ্ধতার প্রমান পান। ঘটনাস্থানে উপস্থিত হয়ে সরেজমিন পর্যবেক্ষন ও উভয় পক্ষের কথা শুনে ইউএনও সুষমা সুলতানা স্বেচ্ছায় নালা কেটে পথ খুলে দিতে আদেশ করেন। অমান্য করা হলে পুনরায় জমি মেপে লাল পতাকা উঠিয়ে খাস জমি অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়।
আশাশুনির কুল্যায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও’র পদক্ষেপ
পূর্ববর্তী পোস্ট