কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নব্য জেএমবি’র সদস্য আরমান আলী (৪২) নামে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া তালতলা মসজিদের সামনে একটি বাড়িতে জঙ্গি সন্দেহে অভিযানের আটককৃত জঙ্গি টলি বেগমের স্বামী। এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তুল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন ও ৩টি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করেছে। শুক্রবার রাত ৩ টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া মাঠের মধ্যে ৩ রাস্তার মোড়ে বটতলায় এ ‘বন্দুকযদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, একদল দুষ্কৃতিকারী নাশকতা সৃষ্টির জন্য বোয়ালিয়া মাঠের মধ্যে ৩ রাস্তার মোড় বটতলায় গোপন বৈঠক করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গি সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে এক জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হলে অপর জঙ্গি সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ জঙ্গি সন্ত্রাসীকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত এসআই শরিফুল, এএসআই সুব্রত, কনস্টেবল সজিব ও নওশাদকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত জঙ্গি সন্ত্রাসী নব্য জেএমবি’র সদস্য এবং তার বিরেুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত জেএমবি সদস্য আরমান আলী পাশ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলার ঠাকুর দৌলতপুর গ্রামের আছান আলীর ছেলে।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া তালতলা মসজিদের সামনে একটি বাড়িতে জঙ্গি অস্তানা সন্দেহ করে অপারেশন টেপিড পাঞ্চ নামে অভিযান চালায় কাউন্টার টেররিজম, বোমা নিস্ক্রিয়কারী টিম, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
অভিযানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত আরমানের স্ত্রী টলি বেগমসহ আরো দুজনকে দুইটা সুইসাইডাল ভেস্ট, ১টি পিস্তল, বোমা, ৪টি ম্যাগজিন ও গান পাউডারসহ আটক করা হয়।