ফিচার ডেস্ক : দশম টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে যাত্রা শুরুর পর সাদা পোশাকে ১০১টি ম্যাচ খেলে ফেলল বাংলাদেশ। সাফল্যের হিসেবে জয়ই যখন সর্বোচ্চ মানদণ্ডের, তাতে টাইগাররা পাচ্ছে মাত্র ১০-নম্বর! ১৬ বছরের টেস্ট যাত্রায় মাত্র ১০টি জয়ের মুখ দেখেছে লাল-সবুজরা। যার প্রথমটি এসেছিল ১০ জানুয়ারি, ২০০৫ সালে; চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। আর সর্বশেষটি মিরপুরের শের-ই-বাংলায় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে।
জয়ের মুখ দেখা এই ১০ টেস্টে সাফল্যের কারিগর হয়ে ছিল অনেকের ব্যাটে-বলের নৈপুণ্য। তবে প্রতিটি ম্যাচই বেছে নিয়েছিল নির্দিষ্ট একজন নায়ককেও। ক্রিকেটীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ‘ম্যাচ সেরা’। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দশ টেস্টে জয়ের সেই নায়কদের-
এনামুল হক জুনিয়র
এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম (৬-১০ জানুয়ারি, ২০০৫; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
সেই ম্যাচে টেস্ট অভিষেকের প্রায় পাঁচ বছর পর প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তখনকার দলীয় সর্বোচ্চ প্রথম ইনিংসের ৪৮৮ রানে যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ৩১২ রানে অলআউট করে স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছিল ২০৪ রানে। পঞ্চম দিনে গড়ানো সেই ম্যাচে স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ১৫৪ রানে অলআউট করে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
২২৬ রানে জয়ী সেই ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২.২ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে নায়ক বনে গিয়েছিলেন এনামুল জুনিয়র। অথচ প্রথম ইনিংসে ২৬ ওভার বল করে ৫৫ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন এই স্পিনার। প্রথম টেস্ট জয়ের ম্যাচ সেরার ট্রফিটি উঠেছিল এনামুলের হাতেই।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
সেন্ট ভিনসেন্ট (৯-১৩ জুলাই, ২০০৯; প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
বোর্ডের সঙ্গে জটিলতার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক ক্রিকেটারই দলে ছিলেন না। খর্বশক্তির সেই দলের বিপক্ষে বিদেশের মাটিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। নিজেদের ৬০তম ম্যাচে প্রথম ইনিংসে কোনো ফিফটি ছাড়াই ২৩৮ রান তুলেছিল টাইগাররা। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৭ রান তোলে। ৬৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের (১২৮) প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৩৪৫ রান তুলে ২৭৬ রানের লিড নেয়। আর ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর স্পিনে।
৯৫ রানে জয়ের সেই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৯ ও ৮ রানে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নায়ক বনে গিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসেও ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।
সাকিব আল হাসান
সেন্ট জর্জ, গ্রেনাডা (১৭-২০ জুলাই, ২০০৯; প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
পরের ম্যাচেই আরেকটি দুর্দান্ত জয়ের মুখ দেখেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ২৩৭ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৩২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টাইগাররা। পরে ক্যারিবীয়রা দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৯ রানে গুটিয়ে গেলে ২১৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। একপর্যায়ে ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসার পর ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন সাকিব। ১৩ চার ও ১ ছয়ে ৯৭ বলে অপরাজিত ৯৬ রানের একটি ইনিংস খেলে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার ৪ উইকেটে জয়ের সেই ম্যাচে সাকিব প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৬ রান। তবে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৭০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নায়ক বনে যাওয়ার পথেই ছিলেন। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠে তাতে ম্যাচ সেরা হওয়ার ষোলোকলাই পূর্ণ করেছেন।
রবিউল ইসলাম
হারারে স্পোর্টস ক্লাব (২৫-২৯ এপ্রিল, ২০১৩; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
সিরিজের প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয়টিতে প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। পরে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১০৯ রানের লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯১ রান করার পর তাই জিম্বাবুয়েকে ৪০১ রানের বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। পরে জিম্বাবুয়েকে ২৫৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে দারুণ এক জয় পায় লাল-সবুজেররা।
১৪৩ রানে জয়ী সেই ম্যাচে পেসার রবিউল প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট নিয়েছিলেন। সঙ্গে দুই ইনিংসে অপরাজিত ২৪ ও অপরাজিত ৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
তাইজুল ইসলাম
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, মিরপুর (২৫-২৭ অক্টোবর, ২০১৪; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর নিজেরা ২৫৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের ঘূর্ণিতে সফরকারীরা ১১৪ রানেই অলআউট হয়ে যায়। চতুর্থ ইনিংসে ১০১ রান তাড়া করতে যেয়েই অবশ্য ৮২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে জয় এনে দেন মুশফিক।
৩ উইকেটের সেই জয়ে প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়া তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬.৫ ওভার বল করে মাত্র ৩৯ রানে ৮ উইকেট ঝুলিতে পুরে বসেন। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ১৯ রান করার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৫ রানের ছোট তবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন। ম্যাচ সেরা তাই তাইজুল।
সাকিব আল হাসান
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, খুলনা (৩-৭ নভেম্বর, ২০১৪; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি কেবল সাকিব বা বাংলাদেশই নয়, পুরো ক্রিকেটবিশ্বই যে মনে রাখবে দারুণ একটি কীর্তির জন্য। এই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেটের অনন্য অর্জন ছুঁয়েছিলেন সাকিব। যেটি তাকে ইয়ান বোথাম-ইমরান খানের পর তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে এই কীর্তি গড়ার ছোট্ট তালিকায় যুক্ত করে নেয়।
ম্যাচে প্রথম ইনিংসে সাকিবের ১৩৭ রানে ভর করে ৪৩৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। দুই সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ে অবশ্য ৩৬৮ রান তুলে ভালোই জবাব দিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৪৮ রান তুললে ড্রয়ের সম্ভাবনা জাগে। পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে জিম্বাবুয়ে খেই হারিয়ে ফেলে সাকিব-তাইজুলের ঘূর্ণিতে। প্রথম ইনিংসে ৮০ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। বাংলাদেশ জয় পায় ১৬২ রানে। অনন্য কীর্তির ম্যাচে সেরা হন সাকিব।
মুমিনুল হক
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম (১২-১৬ নভেম্বর, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তামিম-ইমরুলের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫০৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে তোলে ৩৭৪ রান। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল হকের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩১৯ রান তুলে ইনিংস ছেড়ে দেয় টাইগাররা। চতুর্থ ইনিংসে জিম্বাবুয়ে পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে যেয়ে বড় পরাজয় দেখে।
মুমিনুল প্রথম ইনিংসে ৪৮ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৩১ রানের ঝলমলে একটি সেঞ্চুরি উপহার দেন। যেটি ম্যাচ সেরার আসনে বসিয়ে দেয় তাকে। বাংলাদেশ ৩-০ তে সিরিজ জিতেছিল এই ম্যাচের ইতিবাচক ফল আনার মধ্য দিয়েই।
মেহেদি হাসান মিরাজ
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, মিরপুর (২৮ অক্টোবর-১ নভেম্বর, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড)
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটের ফ্লাডলাইট ভেদ করে অস্তমিত সূর্যকে ছাপিয়ে যেদিন নবযুগের সূচনা হয়েছিল, দিনটি ৩০ অক্টোবর ২০১৬, রোববার। এদিন মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণি বলের মায়া যাদুতে ইতিহাসের কপালে চুমো আঁকে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট করে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি ১০৮ রানে জিতে নেয় টাইগাররা। সেই সঙ্গে সমতা ফেরায় সিরিজে।
মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২০ রান তুলে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৪ রানে ৮ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকসের দৃঢ়তায় নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রান তুলে ২৪ রানের লিড নেয়। পরে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯৬ রানে থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ইংল্যান্ডের সামনে ২৭৩ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। সেটি তাড়া করতে যেয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেছে ইংলিশরা।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানে ৬ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসেও ৮২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই তরুণ অফস্পিনার। সেটি তাকে ম্যাচ ও সিরিজ সেরার আসনে বসিয়ে দেয়। সঙ্গে দুই টেস্টের ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার দেখা পাওয়া ৬ উইকেটের কীর্তিতে ১২৯ বছরের পুরনো বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
অভিষেকের পর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার কীর্তি এখন মিরাজের। অভিষেকের পর প্রথম দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট নেয়ার বিশ্বরেকর্ড এতদিন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বাঁহাতি পেসার জন জেমস প্যারিসের দখলে ছিল। ১৮৮৬-৮৭ মৌসুমে এই কীর্তি গড়েন তিনি। সেই কীর্তিকে ছাপিয়ে গেলেন মিরাজ। তার উইকেট এখন ১৯টি। চট্টগ্রামে অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসে (৬+১) ৭ উইকেট নেয়ার পর ঢাকা টেস্টে (৬+৬) উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ।
সঙ্গে মাত্র দুই টেস্টে ৩ বার ৫ বা ততোধিক উইকেট নিয়ে অভিজাত এক ক্লাবেও জায়গা করে নিয়েছেন মিরাজ। তার আগে টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম দুই ম্যাচে তিনবার ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়া অপর চারজন হলেন- নরেন্দ্র হিরওয়ানি, ক্লারি গ্রিমেট, টম রিচার্ডসন, সিডনি বার্নেস ও রডনি হগ।
পি সারায় ৮২ রানের ম্যাচ সেরা ইনিংস খেলার পথে তামিম
তামিম ইকবাল
পি সারা স্টেডিয়াম, কলম্বো (১৫-১৯ মার্চ, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা)
বাংলাদেশের শততম টেস্টের মাইলফলক। ম্যাচে চড়াই-উতরাই। টেস্টের সবটুকু রং বিছানো ২২ গজের ক্যানভাসে। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৩৩৮। জবাবে সাকিবের ১১৬, সৌম্যর ৬১ আর মোসাদ্দেকের ৭৫ রানে ৪৬৭ রানের সংগ্রহ সফরকারীদের। ১২৯ রানের লিড পায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে করুনারত্নের ১২৬ আর পেরারা (৫০) ও সান্দাকানের (৪২) রানে ৩১৯ রান তোলে স্বাগতিকরা। ১৯১ রানের লক্ষ্যে ছুটতে যেয়ে তামিম ৮২ ও সাব্বিরের ৪১ রানের পরও ঝুঁকিতে ছিল বাংলাদেশ। ২২ রানে অপরাজিত থেকে যেটি শেষ করে আসেন অধিনায়ক মুশফিক।
প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের ব্যাটে ৪৯ রান এসেছিল। তাতে ভালো শুরু পায়। দ্বিতীয় ইনিংসে দল ২২ রানে দুই উইকেট হারালে হাল ধরেন বাঁহাতি টাইগার উদ্বোধনী। খেলেন ৮২ রানের ইনিংস। তাতেই ম্যাচ সেরা তামিম।
সাকিব আল হাসান
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, মিরপুর (২৭-৩০ আগস্ট, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া)
বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা প্রমাণের ম্যাচ। ১১ বছর পর এসেছে অস্ট্রেলিয়া। মাঝে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে থিতু হওয়ার পথে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তোলে ২৬০। তামিম ৭১ ও সাকিব ৮৪ রানের অবদান রাখেন। জবাবে অজিরা জমা করে ২১৭। সাকিবের ৫ উইকেট। টেস্ট খেলুড়ে নয় দেশের বিপক্ষে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়ার চক্রপূরণ। স্বাগতিকদের লিড ৪৩ রানের। পরে তামিমের ৭৮ ও মুশফিকের ৪১ রানে ২২১ রানে থামে টাইগাররা। অজিদের সামনে লক্ষ্য ২৬৫। আবারও ত্রাতা সাকিব, ফের পাঁচ উইকেট। সঙ্গে তাইজুলের ৩ উইকেট। ওয়ার্নারের ১১২ বিফলে। জয়টি ২০ রানের।
শুধু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেননি সাকিব, করেছেন ৫ রান। প্রথম ইনিংসের ৮৪ ১১ চারে ১৩৩ বলে। প্রথম ইনিংসে বল হাতে পাঁচ উইকেট ২৫.৫ ওভারে ৬৮ রান খরচায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ ওভারে ৬০ রান খরচায় ৫ উইকেট। তাতে অবধারিতভাবে ম্যাচসেরা সাকিবই।