পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঈদের দিন সকালে এক তরুণীকে (১৯) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তরুণী বাদী হয়ে দুপুরে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কবির হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর মা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তরুণীটি তাঁর মায়ের সঙ্গেই ছিলেন। ভোরে তিনি হাসপাতাল থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তিনি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে পাঁচ যুবক মোটরসাইকেলটির গতি রোধ করেন। তাঁরা তরুণীর মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যান। আধা কিলোমিটার দূরের এক পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে তাঁরা তাঁকে ধর্ষণ করেন। তরুণীর চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন যুবক এগিয়ে গেলে ওই পাঁচ যুবক পালানোর চেষ্টা করেন। তখন কবিরকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির দাবি করেন, তিনি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার সন্দেহভাজন হলেন জাফর গাজী (৩০), মিজান সরদার (২৪), সিদ্দিক (৩০) ও মনজু (২৮)। তাঁরা সবাই ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তরুণী পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আর তরুণীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।