পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছার কুচিয়া নদীটিতে চলছে দখলের মহোৎসব। কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে নাব্যতা হারিয়ে ভুমি দস্যুদের কবলে। সরকার হারাচ্ছে সম্পদ আর এলাকাবাসী রয়েছে প্লাবনের আশংকায়। দ্রুত নদীটি সংস্কার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পূর্বক পূর্বের ন্যায় ফিরিয়ে আনার জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের কুচিয়া নদীটি কালের আবর্তে বিলীন হতে চলেছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে এক শ্রেণির ভুমিদস্যুরা নদীটি দু’পাশ দিয়ে অবৈধ দখল করে চলেছে। ১৬৫ ফুট প্রস্থের নদীটি এখন আছে আনুমানিক ১৫/২০ ফুট। বাকী নদীটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দখলে নেমেছে এক শ্রেণীর দখলবাজরা। আবার প্রভাবশালী একটি মহল নদীর পাশে প্লট তৈরি করে অন্যদের বসবাসের সুযোগ করে দিচেছ। নদীর কোল ঘেষে রয়েছে চারবান্ধা এলাকা। উক্ত এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মাটি ভরাট করে নদীটি প্রায় দখল করে নিয়েছে। দক্ষিণ পাড়ে কেউ কেউ নদী বেধে মৎস্য চাষ ও বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করছে। আর উত্তর পাড়ে নদী ঘেষে গড়ে তুলেছে বড় বড় দোকান ঘর। দেখা যায়, চারবান্ধার কুমুদ রঞ্জন সানা, কাটিপাড়ার পবিত্র দত্ত, পার বয়ারঝাপার রবিউল, দীঘার শেখর রঞ্জন রায়, চারবান্ধার অজয় বাইন, আশুতোষ মন্ডল, কুমারেশ মন্ডল, আশিষ দত্ত, রাজ্জাক গাজীরা নদীর উপর বড় বড় ঘর তৈরি করে অবৈধ দখলে নিয়েছে। এছাড়া একই স্থানে আরও অনেকে মাটি ভরাট পূর্বক নদীটি শেষ করে দিয়েছে। ১৬৫ ফুটের নদীটি ঐ স্থানে রয়েছে ১০/১৫ ফুট। সরকার যে মুহুর্তে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বাঘা বাঘা নেতাদের অবৈধ দখলের অট্রালিকা উচ্ছেদ করছে। সেখানে পাইকগাছায় আবহমান কালের ঐতিহ্যবাহী কুচিয়া নদীটি দখলদাররা অবৈধ দখল করে নিচ্ছে। সচেতন মহল অত্র এলাকার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা সহ অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ পূর্বক নদীটির গতিধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট