আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে গাড়ি বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৩১ জনে দাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত অন্তত আড়াই’শ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। মোগাদিসুর একটি ব্যস্ত এলাকায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে আশে পাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আবদুল্লাহি মুহাম্মদ ফারমাজো এ ঘটনায় তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। রোববার সকাল থেকে শুরু হয়ে টানা তিনদিন চলবে এ শোক পালন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই বিস্ফোরণকে কয়েক বছরের মধ্যে শক্তিশালী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আহতদের সহায়তার জন্য নাগরিকদের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আবদুল্লাহি মুহাম্মদ ফারমাজো জানান, আহতদের সহায়তা, রক্ত দান এবং আনুষাঙ্গিক সহায়তার জন্য আমাদের দেশের সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার এ হামলার জন্যে আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। সোমালিয়ার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যস্ত এলাকায় এধরনের ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণস্থলে সাফারি হোটেলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এঘটনার পর সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাসান আলী খায়ের বলেছেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী আব্দুররহমান ওমর বলেছেন, এধরনের ঘটনা সোমালিয়ার ইতিহাসে এর আগে কখনো ঘটেনি। এটি বর্বরোচিত হত্যাকান্ড।
এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস অভিযানে ড্রোন ব্যবহার করে আসছে। তাদের সঙ্গে সোমালিয়ার ২০ হাজার সেনা সদস্য সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে। ইউএস আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান দুদিন আগে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা ঘটল।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেছেন মোগাদিসু শহরের মেয়র থাবিত আবদে মুহাম্মদ। সেখানে পৌঁছে তিনি রক্তদান করেন।