বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফিরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জামিন নেওয়ার জন্য আদালতে যাবেন। তিনি আজ বিকেলে ঢাকায় আসছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময়ে দেশে ফিরছেন যখন তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত ৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন বেগম। এ ছাড়া ১২ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকায় দুটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মানহানির মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবী এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান এ দুটি পরোয়ানা জারি করেন।
বিএনপি মনে করে, রাজনৈতিক কারণেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আজ খালেদা জিয়া ঢাকায় আসছেন। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করবেন।
এ দিকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ১৫ মিনিট) খালেদা জিয়াকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের বিমানটি (ইকে-৫৮৬) হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে ছাড়ে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ফ্লাইটটি দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। বিকেল সোয়া ৫টায় সেটি ঢাকা হযরত (রহ.) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
লন্ডন থেকে বিমানে ওঠার আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। ভিআইপি টার্মিনাল থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে এই বক্তব্য দেন তিনি। নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে দলীয়প্রধানের বক্তব্য শুনেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে খালেদা জিয়াকে দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীরা স্বাগত জানাবেন। বিএনপি এ নিয়ে কোনো কর্মসূচি না রাখলেও দলের নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
গত ১৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন। বড় ছেলে ও দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগে থেকেই লন্ডনে অবস্থান করছেন।