হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডায় আবারও পণ্ড হয়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ ও বাম সমর্থিত শিক্ষকদের নীল দলের সাধারণ সভা। এতে আহত হয়েছেন দুই শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সভায় এক শিক্ষকের বক্তব্যের মধ্যে অন্য শিক্ষকের তীর্যক মন্তব্য নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে কোনো ধরনের আলোচনা বা সদ্ধিান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।
এ ব্যাপারে নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমি জীবনেও দেখিনি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অনুরোধ জানিয়েছি।
সভায় উপস্থিত নীল দলের কয়েকজন শিক্ষক জানান, বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই সভায় প্রথম থেকেই সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকপন্থি এবং বর্তমান উপাচার্য আখতারুজ্জামানপন্থি শিক্ষকরা একপক্ষ আরেকপক্ষকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিতে থাকেন।
এসময় অধ্যাপক আ খ ম জামাল উদ্দিন জামাল উদ্দিন বক্তব্যে সাবেক উপাচার্য সম্পর্কে তার আগের বক্তাদের কটাক্ষমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। তার পরে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রক্টর গোলাম রব্বানী ফের আরেফিন সিদ্দিক ও জামাল উদ্দিনকে নিয়ে কথা বললে জামাল উদ্দিন তার প্রতিবাদ করেন। তখন তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক আ খ ম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বক্তব্যে প্রক্টর আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছিল। এ সময় আমি তাকে বলি, আপনি একজন প্রক্টর হিসেবে আমাকে এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে পারেন না। তখন তিনি আমাকে আঘাত করেন। এরপর শাহ মাসুম এবং সীতেশ চন্দ্র বাছার আমাকে কিলঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। ‘
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলাম তখন জামাল উদ্দিন সামনে বসা চেয়ার থেকে উঠে এসে আমার বুকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তার আক্রমণাত্মক আচরণ দেখে অন্য শিক্ষকরা আমাকে রক্ষা করার জন্য ঘিরে ফেলে। জামাল এ সময় ওই শিক্ষকদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে আমার কাছে আসতে চান। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হতবিহব্বল হয়ে যাই। একটু পর জামালকে দেখি এক কোণায় ফ্লোরে বসে আছে। তখন আমি গিয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে চেয়ারে বসাই। এসময় আমি অন্যদের অনুরোধ করি তাকে কিছু না বলার জন্য। ‘
এর আগে ৭ মে সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে নীল দলের প্যানেল চূড়ান্ত করতে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় ডাকা সভায়ও দফায় দফায় হট্টগোল ও বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। তবে সেবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।