দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং করতে যৌথ উদ্যোগে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।। এই র্যাংকিংয়ের শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। দ্বিতীয় অবস্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওআরজি কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি র্যাংকিংয়ের আওতায় আনা। যদিও ৮৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়নি। যে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার কালো তালিকাভুক্ত করেছে তাদের এই র্যাংকিংয়ের আওতায় আনা হয়নি। এছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ২০১২ সালের পর শুরু হয়েছে ও এখনপর্যন্ত কোনও সমাবর্তন হয়নি, সেগুলোও এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ২০টি। ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার নেওয়া হবে।
এছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পড়ায় এবং যারা অনার্স ডিগ্রি অফার করে না, সেগুলোকেও এই গবেষণার আওতায় আনা হয়নি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট নীতিমালা অনুসরণ করে না (যেমন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন) সেগুলোকেও এই গবেষণার বাইরে রাখা হয়েছে।
ওপরের ক্যাটাগরিগুলোর অন্তর্ভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাদ দিয়ে মোট ৩২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। এরমধ্য থেকেই ফ্যাকচুয়াল, পারসেপচুয়াল ও এই দু’টির স্কোরের সমন্বয়ে চূড়ান্ত র্যাংকিং করা হয়েছে সেরা ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের।
পুরো প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে সম্পন্ন করা হয়। এই জরিপের মোট ফলাফলে দেখা যায়, প্রথম স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় স্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, তৃতীয় স্থানে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, চতুর্থ স্থানে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, পঞ্চম স্থানে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ষষ্ঠ স্থানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, সপ্তম স্থানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, অষ্টম স্থানে দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, নবম স্থানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও দশম স্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
র্যাংকস নির্ণয় করা হয়েছে দু’টি পদ্ধতির সমন্বয়ে–ফ্যাকচুয়াল স্কোর ও পারসেপচুয়াল স্কোরের মাধ্যমে। ফ্যাকচুয়াল তথ্যে রয়েছে, শিক্ষার্থী সংখ্যা, শিক্ষক, পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের সংখ্যা, গবেষণায় খরচ ইত্যাদি। এই তথ্যগুলো নেওয়া হয়েছে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশনের ২০১৪ সালের রিপোর্ট থেকে। প্রাপ্ত রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফ্যাকচুয়াল র্যাংকিংয়ে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, তৃতীয় স্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, চতুর্থ স্থানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস ও পঞ্চম স্থানে আছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
পারসেপচুয়াল স্কোরগুলো নেওয়া হয়েছে অ্যাকাডেমিক (ডিন, বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, রেজিস্ট্রার) ও চাকরিদাতাদের কাছ থেকে। তারা বিভিন্ন সূচকে নিজেদের স্কোর দিয়েছেন। যেমন, শিক্ষার পরিবেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো, শিক্ষকদের মান, চাকরিক্ষেত্রে পাসকরা শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি। এসব স্কোরে দেখা যায়, পারসেপচুয়াল র্যাংকিংয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। এছাড়া দ্বিতীয় স্থানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, তৃতীয় স্থানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, চতুর্থ স্থানে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
ফ্যাকচুয়াল স্কোরে এগিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি:
ফ্যাকচুয়াল স্কোর করা হয়েছে কয়েকটি ক্যাটাগরির ওপর। যেমন– মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা, লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা, গবেষণায় ব্যয়, পিএইচডি ডিগ্রিধারীদেরসংখ্যা, ক্যাম্পাসের আয়তন, শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত, পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার, গবেষণাপত্রের সংখ্যা।
এসব ক্যাটাগরিতে দেখা যায় গবেষণায় ব্যয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তাদের বাৎসরিক গবেষণায় ব্যয় ৩৯.৯২ কোটি টাকা। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ব্যয় করেছে ৮.৬১ কোটি টাকা। এছাড়া আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ৪.১৮ কোটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ২.৯৬ কোটি ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১.৬৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে গবেষণা খাতে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি গবেষণা ব্যয়ে এগিয়ে থাকলেও গবেষণাপত্র প্রকাশনায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক জার্নালে ১৭৩ টি গবেষণাপত্র প্রকাশ হলেও দেশীয় জার্নালে কোনও গবেষণাপত্র নেই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির। গবেষণাপত্র প্রকাশে শীর্ষে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট গবেষণাপত্র ৩৩৬ টি। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক জার্নালে রয়েছে ২৪২টি এবং দেশীয় জার্নালে রয়েছে ৯৪ট গবেষণাপত্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট গবেষণাপত্রের সংখ্যা ১৮৯টি, আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ১৫৯টি, দেশীয় জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ৩০টি।
শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৯০ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, তাদের রয়েছে ১৩ হাজার ৬৭৯ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া শিক্ষার্থী সংখ্যায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রয়েছে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি (১১ হাজার ৪১০ জন), স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি (১০ হাজার ৭৮৭ জন) ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশ (১০ হাজার ৫৭১ জন)।
অন্যদিকে লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ইউজিসির ২০১৪ সালের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় তাদের লাইব্রেরিতে রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টি বই। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
শিক্ষার মান ও গবেষণার মান নিশ্চিত করার জন্য পিএইচডি প্রাপ্ত শিক্ষকের গুরুত্ব রয়েছে ইউনিভার্সিটিতে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৪৪৯ জন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে ১৭৭ জন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে রয়েছেন ১১৮ জন, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ১১১ জন ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিতে রয়েছেন ৯৪ জন। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতে শীর্ষ পাঁচের মধ্যেও নেই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ১০.৬৫-১ অনুপাত নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতে প্রথম স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল উইম্যান্স ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২৪ জন, মোট শিক্ষক ২৮ জন। যার অনুপাত দাঁড়ায় ৬.০৫-১।
অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পূর্ণকালীন শিক্ষকের হারে সেরা পাঁচের মধ্যে থাকতে পারেনি চূড়ান্ত র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি। শুধুমাত্র আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের মোট শিক্ষক সংখ্যা ৩৪৮ জন, যার মধ্যে খণ্ডকালীন রয়েছেন ১৫ জন। তাদের পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার ৯৫.৮৭। যেখানে প্রথমস্থানে রয়েছে সিটি ইউনিভার্সিটি, তাদের শিক্ষক সংখ্যা ১০৮ জন; যার মধ্যে কোনও খণ্ডকালীন শিক্ষক নেই। তাই তাদের শতকরা হার ১০০%। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (৯৮.৮০%)।
পারসেপচুয়াল স্কোরে এগিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি:
ফ্যাকচুয়াল স্কোর করা হয়েছে কয়েকটি ক্যাটাগরির ওপর। যেমন– মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা, লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা, গবেষণায় ব্যয়, পিএইচডি ডিগ্রিধারীদেরসংখ্যা, ক্যাম্পাসের আয়তন, শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত, পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার, গবেষণাপত্রের সংখ্যা।
এসব ক্যাটাগরিতে দেখা যায় গবেষণায় ব্যয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তাদের বাৎসরিক গবেষণায় ব্যয় ৩৯.৯২ কোটি টাকা। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ব্যয় করেছে ৮.৬১ কোটি টাকা। এছাড়া আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ৪.১৮ কোটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ২.৯৬ কোটি ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১.৬৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে গবেষণা খাতে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি গবেষণা ব্যয়ে এগিয়ে থাকলেও গবেষণাপত্র প্রকাশনায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক জার্নালে ১৭৩ টি গবেষণাপত্র প্রকাশ হলেও দেশীয় জার্নালে কোনও গবেষণাপত্র নেই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির। গবেষণাপত্র প্রকাশে শীর্ষে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট গবেষণাপত্র ৩৩৬ টি। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক জার্নালে রয়েছে ২৪২টি এবং দেশীয় জার্নালে রয়েছে ৯৪ট গবেষণাপত্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট গবেষণাপত্রের সংখ্যা ১৮৯টি, আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ১৫৯টি, দেশীয় জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ৩০টি।
শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৯০ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, তাদের রয়েছে ১৩ হাজার ৬৭৯ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া শিক্ষার্থী সংখ্যায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রয়েছে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি (১১ হাজার ৪১০ জন), স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি (১০ হাজার ৭৮৭ জন) ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশ (১০ হাজার ৫৭১ জন)।
অন্যদিকে লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ইউজিসির ২০১৪ সালের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় তাদের লাইব্রেরিতে রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টি বই। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
শিক্ষার মান ও গবেষণার মান নিশ্চিত করার জন্য পিএইচডি প্রাপ্ত শিক্ষকের গুরুত্ব রয়েছে ইউনিভার্সিটিতে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৪৪৯ জন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে ১৭৭ জন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে রয়েছেন ১১৮ জন, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ১১১ জন ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিতে রয়েছেন ৯৪ জন। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতে শীর্ষ পাঁচের মধ্যেও নেই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ১০.৬৫-১ অনুপাত নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতে প্রথম স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল উইম্যান্স ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২৪ জন, মোট শিক্ষক ২৮ জন। যার অনুপাত দাঁড়ায় ৬.০৫-১।
অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পূর্ণকালীন শিক্ষকের হারে সেরা পাঁচের মধ্যে থাকতে পারেনি চূড়ান্ত র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি। শুধুমাত্র আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের মোট শিক্ষক সংখ্যা ৩৪৮ জন, যার মধ্যে খণ্ডকালীন রয়েছেন ১৫ জন। তাদের পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার ৯৫.৮৭। যেখানে প্রথমস্থানে রয়েছে সিটি ইউনিভার্সিটি, তাদের শিক্ষক সংখ্যা ১০৮ জন; যার মধ্যে কোনও খণ্ডকালীন শিক্ষক নেই। তাই তাদের শতকরা হার ১০০%। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (৯৮.৮০%)।
পারসেপচুয়াল স্কোরে এগিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি:
পারসেপচুয়াল ডাটা দু’টি উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথমত, অ্যাকাডেমিক এবং দ্বিতীয়ত চাকরিদাতা।
ক. অ্যাকাডেমিক: এই গ্রুপের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্ট্রার ও সিনিয়র শিক্ষকরা। তাদের কাছ থেকে যেসব তথ্য নেওয়া হয়, সেগুলো হলো–শিক্ষা ও কাজের পরিবেশ, অবকাঠামো–শ্রেণিকক্ষ লাইব্রেরি, ল্যাব ও অন্যান্য সুবিধা, শিক্ষকদের দক্ষতা, শিক্ষার্থীদের মান, পাসকৃত শিক্ষার্থীদের মান।
অ্যাকাডেমিকসদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় সবগুলো ক্যাটাগরিতেই শীর্ষে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। শিক্ষা ও কাজের পরিবেশে ৮২.১ স্কোর পেয়ে তারা রয়েছে প্রথমে, যেখানে দ্বিতীয় স্থানে ৭৭.৮১ স্কোর নিয়ে আছে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (৭৭.২৬)।
তবে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অবকাঠামো ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ৮০.০৩ স্কোর নিয়ে। যেখানেও প্রথম স্থানে আছে নর্থ সাউথ, তাদের স্কোর ৮৫.৮৩। অন্যদিকে ব্র্যাক শিক্ষকের দক্ষতা ক্যাটাগরিতে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তাদের স্কোর ৮০.১৯। এই ক্যাটাগরিতেও শীর্ষে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (৮৫.২৭), তৃতীয় অবস্থানে আছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি।
শিক্ষার্থীদের মান, পাসকৃত শিক্ষার্থীদের মান এই দুই ক্যাগরিতেও নর্থ সাউথ যথাক্রমে ৭৮.৪০ এবং ৭৯.৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এ দুটি ক্যাটাগরিতেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
অ্যাকাডেমিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে চূড়ান্তভাবে দেখা যায় নর্থ সাউথ মোট ৮২.৬৫ স্কোর নিয়ে রয়েছে শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে ৭৮.৬৬ স্কোর নিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, তাদের স্কোর ৭৭.৪৪।
খ. চাকরিদাতা: ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরি দেয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপকরা। তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়– চাকরিক্ষেত্রে পাসকৃতদের পারফরমেন্স, পাসকৃতদের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতা, যোগাযোগ ক্ষমতা, টিমওয়ার্ক ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা।
এই ক্যাটাগরিতেও দেখা যায়, অধিকাংশ জায়গায় এগিয়ে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। শুধু টিমওয়ার্ক ও উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতায় এগিয়ে রয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সমন্বিত স্কোরে এগিয়ে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি।
চাকরিক্ষেত্রে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের পারফরমেন্সে ৭৭.২৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নর্থ সাউথ, ৭৬.৪০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ব্র্যাক এবং তৃতীয় স্থানে ৭৩.৩৯ স্কোর নিয়ে আছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। তবে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতা এবং টিমওয়ার্ক ক্যাটাগরিতে এগিয়ে আছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। সেখানে ব্র্যাকের স্কোর যথাক্রমে ৭৪.০৪ এবং ৭৩.৭৪। এসব ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের স্কোর যথাক্রমে ৭৩.৬০ এবং ৭৩.৬৪। একইভাবে উভয় ক্যাটাগরিতে ইস্ট ওয়েস্ট রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের স্কোর যথাক্রমে ৭০.০৩ এবং ৭১.১৭। কিন্তু যোগাযোগ ক্ষমতা বা কমিউনিকেশন অ্যাবিলিটি এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতায় শীর্ষে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। এই দুটি ক্যাটাগরিতে তাদের স্কোর যথাক্রমে ৭৮.৯৩ এবং ৭৩.৫৮। যেখানে দুটি ক্যাটাগরিতেই ব্র্যাকের অবস্থান দ্বিতীয়। তাদের স্কোর যথাক্রমে ৭৭.৩৭ এবং ৭১.৯৮।
ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং প্রজেক্ট পরিচালিত হয়েছে উদেষ্টা কমিটির তত্ত্বাবধানে। কমিটির সদস্যরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ওআরজি কোয়েস্টের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেকটর মনজুরুল হক, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, প্রথম আলোর নিউজ এডিটর শরিফুজ্জামান পিন্টু, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিইও সাঈদ আহমেদ।