দিনের আগের ম্যাচ জিতে শীর্ষে উঠে গিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। খুলনা টাইটানসের সমান ১১ পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবিধায় শীর্ষে বসেছিল তারা। খুলনা অবশ্য নেট রানরেটের ঝামেলায় থাকল না। সন্ধ্যার ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে ৬৮ রানে উড়িয়ে পরিষ্কারভাবে দখল করল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বর জায়গা।
ব্যাটিংয়েই আসলে জয়টা একরকম নিশ্চিত করে রেখেছিল খুলনা। নিকোলাস পুরান (২৬ বলে ৫৭), আফিফ হোসেন (৩৮ বলে ৫৪*), নাজমুল হোসেন শান্ত (৩১ বলে ৪৯) ও কার্লোস ব্রাথওয়েটের (১৪ বলে ৩৪) ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা করে ৫ উইকেটে ২১৩ রান। চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের স্কোর গড়ার পর বল হাতেও জ্বলে ওঠে খুলনা। যাতে ১৯ ওভারে ১৪৫ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী। ৬৮ রানের এই জয়ে ৯ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আবার শীর্ষে বসেছে খুলনা। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা।
২১৪ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরুর প্রত্যাশা ছিল রাজশাহীর। কিন্তু হয়নি তা। উল্টো শুরুতেই জোড়া আঘাতে কঠিন লক্ষ্যটা আরও কঠিন করে তোলেন শফিউল ইসলাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এই পেসারের জোড়া আঘাতে ১৩ রানে ২ উইকেট হারায় রাজশাহী। মুমিনুল হককে (১১) বোল্ড করার পর লুক রাইটকে (১) ক্যাচ বানান তিনি জোফরা আর্চারের হাতে।
রনি তালুকদার ও জাকির হাসানের ৫৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল রাজশাহী। কিন্তু নবম ওভারে আবু জায়েদের জোড়া আঘাতে আবার এলোমেলো ড্যারেন স্যামিরা। দলীয় ৬৮ রানে টানা দুই বলে রনি (৩৬) ও জাকিরের (১৯) উইকেট হারায় রাজশাহী। ১১তম ওভারে আরেকটি জোড়া আঘাতে আশার শেষ প্রদীপটাও নিভে যায় রাজশাহীর। শফিউল নিজের তৃতীয় ওভারে ড্যারেন স্যামি (১) ও মুশফিকুর রহিমকে (১১) ফেরালে খুলনা পায় জয়ের সুবাস।
রাজশাহীর ইনিংসের ইতিও টেনেছেন এই পেসার। ১৪ বলে ১৮ রান করা মোহাম্মদ সামিকে আউট করে নিজের ৫ উইকেট পূরণের সঙ্গে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন শফিউল। তিনি ৪ ওভারে ২৬ রানে ৫ উইকেট তুলে নিলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা নিকোলাস পুরান।