কপিলমুনি খুলনা : কপিলমুনির কাজীমুছায় গৃহবধূ সালমা বেগমকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার ঘটনায় দু’পরিবারে মোটা অংকের রফার বিনিময়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন হত্যা মামলা দায়ের হয়নি। এদিকে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে গত পরশু তার পিত্রালয় তালার মহন্দিস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, শুধুমাত্র সন্দেহবশত গত প্রায় ৩ বছর যাবৎ নিহতের স্বামী মোঃ রোকনুজ্জামান কাগজী তাকে বিভিন্ন সময় ব্যাপক শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করত। এমনকি রাতে পাশের চিংড়ি ঘেরে যাওয়ার সময় ঘরের বাইরের গ্রীলে তালা দিয়ে রেখে যেত। তাই রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সালমাকে ঘরের মধ্যে রাখা বালতির সাহায্য নিতে হত। ঘটনার দিন সকালে সংবাদ সংগ্রহে গেলে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করে। নিহতের একমাত্র শিশু ছেলে সাইফুল্লা জানায়, প্রতি রাতের ন্যায় ঘটনার রাতেও তার পিতা রাতের খাবার খেয়ে ঘেরে চলে গিয়েছিল। তবে পরে আর সে ঐ রাতে বাড়িতে আসে কিনা তা সে জানেনা। প্রসংগত,গত বুধবার সকালে উপজেলার কপিলমুনির কাজীমুছা গ্রামের মোঃ রোকনুজ্জামান কাগজীর বাড়ি থেকে তার স্ত্রী সালমা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিক নিহতের পিত্রালয় থেকে আসা তার ভাই আঃ রশিদ সহ অন্যান্যরা অভিযোগ করেছিল রোকন তার বোন সালমাকে হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে লাশ ঘরের আঁড়ায় ঝুলিয়ে দিয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,উদ্ধারের সময় লাশের পা খাটের উপর ভাঁজ করে রাখা ছিল। এছাড়া তার মুখ দিয়ে গেঁজা বেরুচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ ঐদিনই তার মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে গত পরশু নিহতের লাশ স্বামীর বাড়িতে না নিয়ে তার পিত্রালয় তালার মহান্দি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা œ হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ আরো ঘণিভূত হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে রোকনসহ তার বাড়ির লোকদের গত পরশু সকালে সালমার ভাইয়েরা তাদের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছে। সেখানে নাকি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে যে,নিহতের ছেলে সাইফুল্লার নামে নগত ১লক্ষ টাকা ও ১ বিঘা জমি লিখে দিলে তারা তার নামে কোথাও কোন মামলা করবেনা। এলাকাবাসীর দাবি সঠিক পুলিশি তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসতে পারে। এলাকাবাসী জানায়,এত বড় ঘটনার পরও পুলিশ এক অজ্ঞাত কারণে রোকনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি। নানাবিধ কারণে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ ক্রমশ দানা বেঁধে উঠেছে। এবিষয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ মোঃ বরকত হোসেন বলেন, নিহতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ঠিক বলা যাচ্ছেনা সে আতœহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট