নিজস্ব প্রতিবেদক : জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কলারোয়ায় এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কলারোয়া উপজেলার কামারআলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ওই যুবলীগ নেতা কামারালী গ্রামের আরিজুল ইসলামের পুত্র হেলাল হোসেন (৩১)। এঘটনায় রাত আড়াইটার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবার সুত্রে জানায়, মোঃ হেলাল হোসেন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিলো। পথিমধ্যে একই এলাকার অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ওৎ পেতে থাকা মৃত মুজিবর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, বজলুর রহমানের ছেলে শাওন, মোস্তফা সরদারের ছেলে নাজমুল, মৃত হামেদ আলী সরদারের ছেলে মোস্তফা, মৃত হামেদ আলী সরদারের পুত্র মোস্তফা সরদার ও হবিবার সরদারসহ ৪/৫জন তার গতিরোধ করে। এসময় তারা হেলালের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা মৃত ভেবে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে রেখে চলে যায়।
তারা আরো জানায়, এলাকায় উক্ত ব্যক্তিরা ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত। তারা অত্র এলাকার বহু মানুষের জমি জাল দলিল করে অবৈধভাবে জমি দখল করেছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে থামিয়ে রাখে। এছাড়াও তারা এলাকার চিহ্নিত জামাত-শিবিরের সক্রিয় সদস্য। তাদের নামে নাশকতার একাধিক মামলাও রয়েছে। জমি জায়গা বিষয়কে কেন্দ্র তাদের হেলালের সাথে হামলাকারীদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। যার প্রেক্ষিতে ওই রাতে তারা এঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিষয় নিয়ে শুক্রবার বিকালে যুগিখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রফিকের উপস্থিতিতে একটি মীমাংসা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি বৈঠকে। আর রাতেই এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল সুত্রে জানায়, আহত হেলালের মাথায় ৬টার অধিক কোপের দাগ পাওয়া গেছে। সেখানে ৪০টির অধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। এব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে পারিবারিক সূত্রে জানায়।