মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও শিক্ষণ বিষয়ে আঞ্চলিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অগ্রগতি সংস্থার ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক তোজোম্মেল হক প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন আনিছুর রহিম, আলতাপ হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুর রহমান। এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ ভাগ তরুণ। তাই উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ রুখতে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। বাংলাদেশের সকল জেলার মধ্যে অন্য চোখে দেখা হয়। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামাতের তান্ডবে জঙ্গিবাদি জেলায় পরিচিতি পাওয়ায় আজ সাতক্ষীরার বহু মেধাবী সন্তান বহুদিন বিসিএস ক্যাডার হতে পারেননি এবং সরকারি চাকুরীতে প্রমোশন পাচ্ছেন না। ইসলামসহ সকল ধর্মে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ সমর্থন করেনা। জেলার ইমাম ও ওলামারা যদি মসজিদের খুৎবায় ও ইসলামী জলসায় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের কুফল তুলে ধরে তাহলে দ্রুত উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবেনা। দেশের উন্নয়নে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাই দেশের উন্নয়নে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাই উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন রুপান্তরের প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী শাহাদত হোসেন বাচ্চু। এসময় প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ঈমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিগণ অংশ নেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অগ্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সবুর বিশ^াস।
পূর্ববর্তী পোস্ট