ডেস্ক রিপোর্ট: মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নৌ-কমান্ডো এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও গবেষক সবার প্রিয় কমান্ডার মো. খলিলুর রহমান আর নেই(ইন্না—রাজিউন)। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সাতক্ষীরার যুদ্ধাপরাধ মামলার ৪ আসামি আব্দুল খালেক মন্ডল, আব্দুল্লাহিল বাকী, খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ওরফে টিক্কার বিরুদ্ধে মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী ছিলেন। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে তিনি ঢাকার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। নৌকমান্ডো মো. খলিলুর রহমানের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আয়জুদ্দিন বিশ^াস। কমান্ডো খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটে অংশগ্রহণ করেন। অপারেশন জ্যাকপট শেষে সাতক্ষীরায় ফেরার পথে আশাশুনির বুধহাটায় তিনিসহ তার সাথীরা পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এদেশীয় দোসর রাজাকার কমান্ডার বাকী ও রোকনুজ্জামান খানের বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। সেখানে তাদের দুই সহযোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা বাকী এবং রোকন খান। বর্তমানে এই হত্যাকা-সহ ৭টি সুনির্দিষ্ট যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান ছিলেন এ মামলার চাক্ষুস সাক্ষী।
এমপি রবির শোক:
মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তার মৃত্যুতে এমপি রবি বলেন, সবার প্রিয় মো. খলিলুর রহমান ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক নৌ-কমান্ডো এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও গবেষক। সবার প্রিয় এই মানুষটি সারাটা জীবন সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে অধিকার সম্মান আদায়সহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। যেখানেই অনিয়ম-দুর্নীতি দেখতেন তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান ঝাপিয়ে পড়তেন। সাতক্ষীরাসহ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা একজন দক্ষ কর্মীকে হারাল। তার এ ক্ষতি কখনও পুরণ হওয়ার নয়।