আসাদুজ্জামান: পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় সাতক্ষীরায় শহরের পারকুখরালীতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে শহরের পারকুখরালী গ্রামের রাহাতুল্লাহ’র রাইস মিলে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের নাম সোনিয়া খাতুন (২৫)। সে শহরের ইটাগাছা নতুন গ্রামের মৃত কওছার আলীর মেয়ে ও শ্যামনগর উপজেলার ঘোলা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী ।
আটককৃতরা হলেন, সোনিয়ার স্বামী শ্যামনগর উপজেলার ঘোলা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, সাদ্দাম হোসেনের প্রেমিকা নাজমা খাতুন, সাদ্দাম হোসেনের মা ফাতেমা খাতুন ও রাইস মিল ম্যানেজার সোহাগ হোসেন ।
নিহত সোনিয়ার বড় ভাই জিয়াউর রহমানের জানান, সাদ্দাম হোসেন ও তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন শহরের কুখরালি গ্রামে রাহাতুল্লাহ’র রাইস মিলে কর্মচারি হিসেবে কাজ করতেন। একই রাইস মিলে কাজ করতেন সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী নাজমা খাতুন। নাজমা খাতুনের স্বামী ইব্রাহিম পাটকেলঘাটা ত্রিশ মাইলের একটি কারখানায় কাজ করেন। নাজমা খাতুনের স্বামী তার কাছে না থাকায় সে সোনিয়ার স্বামী সাদ্দাম হোসেনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়্ন।ে এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে শুক্রবার ভোরে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঘরের ভিতর আড়ায় ঝুলিয়ে দেয়।
সাতক্ষীরার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পরকিয়া জেরে সোনিয়াকে তার স্বামী সাদ্দাম পিটিয়ে হত্যা করেছে। নিহতের মুখে, গলায় ও পিঠে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সাদ্দামকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকী তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট