প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আগামী বছর থেকে দেশের সব পাবলিক পরীক্ষায় নতুন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাবলিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে এসএসসি ও এইচএসসিসহ সব পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ধারাবাহিকতায় উদ্বিগ্ন দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ। একই সঙ্গে সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে করণীয় ঠিক করতে সচিবালয়ে বৈঠকে বসেন স্বারষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আগামী বছর প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণের নতুন পদ্ধতির কথা।
শিক্ষাসচিব বলেন, ‘আমি আশা করছি আগামী এসএসসি পরীক্ষা থেকে নতুন কোনো ব্যবস্থাপনায় অবশ্যই সরকারকে যেতে হবে এবং যাবে। সেজন্য আমার কাছে অনেকেই পরিকল্পনা, বিভিন্ন প্রস্তাব করছেন। আমি নিজেও সে বিষয়ে কাজ করছি রাতদিন। আমার হাতে এ মুহূর্তে অনেক প্রস্তাব আছে। সেটি বিশেষজ্ঞদের সামনে আমরা নিয়ে যাব। তাদের সমর্থন নিয়ে আমরা একটা পর্যায়ে যাব। একটা প্রশ্নব্যাংক করার ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে।’
সোহরাব হোসাইন আরো বলেন, ‘এমন কোনো পথ আবিষ্কার করা প্রয়োজন যেখানে প্রশ্নপত্র ছাপাও হবে না বিতরণও হবে না ফাঁসেরও প্রশ্ন আসবে না।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হবে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সুপারিশ পেলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষাসচিব।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য বিভিন্ন বিভাগের অসহযোগিতা, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রনহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ছয়টি কারণ শনাক্ত করা হয় বৈঠকে।