নিজস্ব প্রতিবেদক : লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি পরির্দশনে আসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সচিব আব্দুর রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, মেম্বর মাসুদা বেগম, ফেরদৌসী ইসলাম, রামপ্রসাদ সরকার,সাঈদ আলী সরদার, মোঃ আজিজুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ কাজী মনিরুল ইসলাম, জামির হোসেন, আব্দুল হান্নান প্রমুখ। এসময় ইউপি সদস্যবৃন্দ চেয়ারম্যান কর্তৃক ৪৯ লক্ষ টাকা দুর্নীতির বিষয়ে অবগত করালে তিনি নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের কথা বললে মেম্বরসহ স্থানীয় জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে অবশ্যই এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে শান্ত হন তারা।
এসময় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান বলেন, আমার অফিসিয়াল নিয়মে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ পরির্দশন করতে হয়। সে রুটিন মাফিক আমি লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে চেয়ারম্যান কর্তৃক অর্ধকোটি টাকা লুটপাটের ঘটনা বা অভিযোগ সম্পর্কে আমার কিছুই জানা ছিলো না। তদন্তের জন্য আসা হয়নি। বা সরকারও আমাকে দায়িত্ব দেয়নি। এখানে এসে জানতে পেরেছি। এ অভিযোগ আমি আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানাবো তারা যে নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ইউপি সচিব ও সদস্যবৃন্দ উক্ত প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে ডিডিএলজির সামনে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে উক্ত প্রকল্পের কাগজপত্রের বিষয়ে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাকের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ৩৭ লক্ষ টাকা এবং হাটের ১২ লক্ষ টাকার প্রকল্পের সকল ফাইল আমার নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট নিয়ে নেন। যার তার নিজ হেফাজতে আছে।
উল্লেখ্য : সম্প্রতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে ১২লক্ষ ১৫হাজার ৮৮৮ টাকা এবং হাট ইজারা থেকে পাওয়া ৩৭লক্ষ ২৮হাজার ৭২৩টাকা মোট ৪৯লক্ষ ৪৪হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় রোববার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম নাশকতা মামলায় পলাতক থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে জরুরি সভার আহ্বান করেন। সভায় চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের দুর্নীতি তুলে ধরেন ইউপি সদস্যরা।
লাবসা ইউপি পরিদর্শনে ডিডিএলজি
পূর্ববর্তী পোস্ট