রোহিঙ্গা সংকট পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। মার্চ মাসের বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি কুয়েত ও অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো এ সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। আমরা এর উত্তরে বলেছি, তারা যে সময়ে আসতে চায়, সেই সময়ের জন্য আমরা তৈরি।
সরকারের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা চাই, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার—উভয় দেশ সফর করে নিরাপত্তা পরিষদই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে অবস্থান নিক।
ভেটো পাওয়ারের অধিকারী চীন ও রাশিয়ার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্তে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য রাষ্ট্রই একমত হয়েছে। উল্লেখ্য, আপাতদৃষ্টিতে চীন ও রাশিয়া তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য মিয়ানমারকে সমর্থন করছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার রোহিঙ্গা ও রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার স্ব-স্ব বক্তব্য দিয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রায় সব সদস্যের মনোভাব একই রকম। তবে ভেটো পাওয়ারের অধিকারী এমন দুই-একটি দেশের কারণে শক্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল কবে আসতে পারে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে একটি সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও বলেন, আগামী মাসে নেদারল্যান্ডস নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। আমরা তাদের সঙ্গেও এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখছি।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য নির্বাচনে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের সমর্থন চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে হেগ সফরের সময়ে প্রকাশ্যে তাদের সমর্থন করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হামলা শুরু হলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে। এখন পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। এর আগে থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।