শ্যামনগর ব্যুরোঃ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হলেও কতিপয় শিক্ষকের নৈতিকতা বিরোধী অর্থ বাণিজ্যের কারনে সুকৌশলে পাঠ্যক্রমে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিম্ন মানের খুলনার হতে প্রকাশিত ভূলে ভরা ব্যাকরণ গ্রামার ও নোট বই।এবার গুরুতর অভিযোগ নওয়াবেঁকী ছফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক হজরত আলী ও সহ: প্রধান শিক্ষক শচীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী এর বিরুদ্ধে।সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্যামনগর এর অনলাইন এক্টিভিষ্ট ও সমাজকর্মী রেজওয়ানুল আজাদ নিপুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়,মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছেন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ থাকে যে,অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয় অসাধু পুস্তক ব্যবসায়ী ও প্রকাশকের যোগসাজশ এ অত্যন্ত নিম্ন মানের বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণ ও গ্রামার নোট বই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে যুক্ত করতে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে কৌশলে কিনতে বাধ্য করছেন।খোঁজ নিয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলে।কয়েকজন শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদকে বলেন,আজ বিদ্যালয় ছুটির আগে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীতে সহ:প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন তোমাদের যে বই দেওয়া হয়েছে তা ভালো এবং এই বই আপাতত স্কুলে আনবে না আমাদের (শিক্ষক) বিপদ হবে।অনুরুপভাবে সহ: শিক্ষক অরুপ বাবু সপ্তম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের সামনে বলেন প্রকাশক স্কুলের কল্যাণে কিছু টাকা দিয়েছে যা পরে ব্যয় করা হবে।কয়েকজন অভিভাবক ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন,১০৫০ টাকা ও ১২০০টাকায় নিম্নমানের স্কয়ার প্রকাশনির নোট গাইড ও খুলনার আজিজিয়া লাইব্রেরীর ভাষা বিন্যাসও ব্রিলিয়্যান্ট গ্রামার ব্যাকরন বই কিনতে বাধ্য হচ্ছি।কারণ স্কুলে এই বই থেকে পড়ায়।পড়া না পারলে শাস্তির ভয়ে বাধ্য হয়ে এই ব্যাকরণ ও নোট বই কিনতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষক হজরত আলীর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমি দীর্ঘ বছর যাবত এ বিষয়ের সাথে জড়িত না।অথচ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষন শচীন্দ্রনাথ মিস্ত্রির সাথে কথা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমরা অল্প কিছু গ্রামার বা ব্যাকারণ বই বাচ্চাদের কেনার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।সরকার নিষিদ্ধ বই কেনো কেনার নির্দেশ দিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,কোন বই সরকার নিষিদ্ধ আর কোন বই নিষিদ্ধ না সেটা আমরা জানিনা তাছাড়া মাধ্যমিক অফিস থেকেও আমাদের এ বিষয়ে কোনোদিন কোনো কিছু বলেনি। অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক বলেন,খায়না এমন কোনো প্রধান শিক্ষক নেই। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ রফিকুজ্জমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি বিষয়টি জানতাম না। অবশ্যই এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জনৈক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অভিন্ন সুরে বলেন,স্কয়ার গাইডের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের রচনায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনায় স্বাধীনতার ইতিহাস এ স্বাধীনতার স্থপতির নাম উচ্চারিত হয়েছে একবার।কি শিখবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই বই পড়ে?
শ্যামনগরে প্রধান শিক্ষকের অর্থ বাণিজ্য! নিম্ন মানের বই এর ফাঁদে ছফিরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়
পূর্ববর্তী পোস্ট