নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বোরো জাতের বীজ ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাতক্ষীরার ঘোনা এলাকার কৃষকরা। এসএলএইট জাতের এই বীজ থেকে তৈরি বীজতলার চারা রোপন করে কৃষকরা পেয়েছেন নানা জাতের ধান। জমিতে কিছু ধান এরই মধ্যে পাকতে শুরু করেছে। কিছু ধানের শীষ বেরিয়েছে । আবার কিছু ধান এখনও থোড় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলেন তাদের এলাকার উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন এই বীজ ক্রয়ের পরামর্শ দেন। এমনকি তার পারিবারিক দোকান ‘আল্লাহর দান ট্রেডার্স’ থেকে প্রতি কেজি চার শ’ টাকায় কৃষকরা এই বীজ ধান কেনেন। পরে তা থেকে তৈরি বীজতলার চারা ব্যবহার করে এখন তাদের মাথায় হাত উঠেছে। তারা বলেন এই ধান পেকে উঠলে তা এক সাথে কাটা যাবে না।
রোববার বিকালে এর প্রতিকার দাবিতে কৃষকরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন । ঘোনা এলাকার কৃষক মো. আনারুজ্জামান জানান জেলার অনেক কৃষক এভাবে প্রতারিত হয়েছেন। তারা এর প্রতিকার দাবি করেন।
জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান এই বীজের সরবরাহকারী বিএডিসি। সাতক্ষীরার বিএডিসি অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে এই বীজ সংগ্রহ করে তা গ্রামে এনে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এই বীজের ধান চারায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন তিনি নিজেও বিএডিসির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন । তারাও সরজমিনে এসে ব্যবস্থা নেবেন বলে তাকে জানিয়েছেন। কৃষকরা প্রতারিত হয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
বিএডিসির বীজধান নিয়ে বিপাকে সাতক্ষীরার কৃষক
পূর্ববর্তী পোস্ট