বাবুল আক্তার, পাইকগাছা: পাইকগাছার বেহাল ও জরাজীর্ণ রাস্তাটির নাম কেকচিবুনিয়া কেয়ারের রাস্তা। প্রভাবশালী ঘের মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাস্তাটি লীজ ঘেরের ফাঁড়িতে পরিণত হয়েছে। জন দূর্ভোগ চরম সীমার নিচে। চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নির্বাচনপূর্ব প্রতিশ্র“তি উপেক্ষিত। জনপ্রতি সহ কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল সহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি গ্রামের হাজারও জনগণ। সরজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের বাসাখালী ওয়াপদা রাস্তা হতে হোগলারচক গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার কেকচিবুনিয়া কেয়ারের রাস্তা। ৮০ দশকের দিকে উপরে ১২ ফুট এবং তলদেশ ২৪ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট রাস্তাটি তৈরি হয়। তৈরির পর থেকে বাসাখালীর হোগলারচক, আমিরপুর, বাইনবাড়িয়া, কুমখালী সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন চলাচল করত। কিন্তু ৯০ দশকের দিকে রাস্তাটির দু’পাশে গড়ে ওঠে প্রভাবশালীদের মৎস্য লীজ ঘের। বেহাল ও জরাজীর্ণ হয় রাস্তাটি। লীজ ঘেরের পানির তুফানে কেয়ারের রাস্তা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে তলনিতে ঠেকেছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে রাস্তাটি এখন লীজ ঘেরের ফাঁড়িতে পরিণত হয়েছে। ফলে জন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় অত্র এলাকাবাসীর দূর্ভোগ চরম সীমার নিচে পৌছে গেছে। প্রতিনিয়ত মৎস্য লীজ ঘেরের উপচে পড়া পানির আঘাতে কেয়ারের রাস্তাটি বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজরদারী না থাকায় যেমনি রাস্তাটির অস্তিত্ব সংকটে তেমন এলাকাবাসী সহ শিক্ষার্থীদের চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে অত্র এলাকার জনগণকে পাইকগাছা সদরে প্রায় ১০ কিলোমিটার বেশি গড়ইখালী নতুবা শুড়িখালী ঘুরে আসতে হচ্ছে। এতে যাতায়াত খরচও প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কেয়ারের রাস্তার পাশে মফিজুল ইসলাম টাকু, গণি সানা, বিজন বাইন, প্রদীপ বাইন, জাকির সানা, নান্টু সরদার সহ একাধিক মৎস্য লীজ ঘের রয়েছে। ইউপি নির্বাচন সহ সকল নির্বাচনে প্রার্থীরা জয়ী হয়ে উক্ত রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্র“তি দিলেও নির্বাচন পরবর্তী আর ফিরে তাকায় না বলে অভিমত দিয়েছেন জনদূর্ভোগ কবলিত এলাকাবাসী। উক্ত ওয়ার্ডের সদস্য হান্নান গাজী বলেন, আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল রাস্তা সংস্কারের। সে মোতাবেক আমি আন্দোলন করে যাচ্ছি। চেয়ারম্যানকে বারংবার বলছি। দেখা যাক কতদুর করতে পারি। ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস জানান, কয়েকবার কেয়ারের রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী ঘের মালিকরা লীজ ঘের থেকে পানি না সরানোর কারণে মাটি পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে বারংবার আলোচনা হলেও সাড়া মেলেনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট