আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের এক চিকিৎসক সাংবাদিকদের নিজের চেম্বারে ডেকে ঘোষণা করেছেন যে তিনি জীবিত ও সুস্থ আছেন।
গত এক সপ্তাহ ধরে নোট বাতিল হওয়া নিয়ে সারা দেশে যে ডামাডোল চলছে, তার মধ্যেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ওই চিকিৎসকের বাড়িতে আয়কর দপ্তর হানা দিয়েছে এবং এরপর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
বিহারের ছাপরা জেলার বাসিন্দা আর বি সিনহা বিবিসিকে জানিয়েছেন, “আমার মান-সম্মান সব নষ্ট করে দিয়েছে ওই গুজবটা।”
মঙ্গলবার স্থানীয় দুটি টিভি চ্যানেল এবং একটি সংবাদ পোর্টাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যে নোট বাতিল হওয়ার পরে সারা দেশেই যেভাবে আয়কর দপ্তর হানা দিচ্ছে, সেরকমই এক হানায় ডা. সিনহার বাড়ি থেকে লুকিয়ে রাখা ছয় কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর কর্মকর্তারা।
ওই চিকিৎসক বলছেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা খবর। একটা চ্যানেল তো আমার বাড়ির সামনে রিপোর্টার আর ক্যামেরাম্যান পাঠিয়ে দিয়ে কিছু ছবিও তুলে নিয়ে যায়। তারপরেই গুজবটা সামাজিক মাধ্যম আর হোয়াটস্অ্যাপের বদৌলতে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলায়।”
অবশ্য আরও অবাক হওয়ার পালা বাকি ছিল ৬৫ বছর বয়সী ওই চিকিৎসকের।
“আয়কর হানার খবরের পরে গুজব কানে এল যে আমি নাকি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছি। এই গুজব বন্ধ করতে আমার চেম্বারে একটা সংবাদ সম্মেলন ডেকে সবার সামনে ঘোষণা করতে হল আমাকে যে দেখ আমি মরিনি, বেঁচে আছি।” বলছিলেন ডাক্তার সিনহা।
তিনি জানান, সংবাদ পোর্টাল এবং স্থানীয় চ্যানেল দুটির কাছে তাঁর পক্ষ থেকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী নোট বাতিল হওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রেই নোট বদলের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা অজানা ভবিষ্যতের আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে।
কিন্তু প্রতিটি মৃত্যু আসলে ঠিক কী কারণে হয়েছে, সেটা যাচাই করা একরকম অসম্ভব। -বিবিসি