খেলাধুলো: ফ্লোরিডায় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ২৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলে ভারত।
রোহিত শর্মা আর লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন ধোনি-কোহলিরা। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ২৪ রান। হাতে ৭ উইকেট।
ক্রিজে আছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহেন্দ্র সিং ধোনি ও খুনে মেজাজে থাকা লোকেশ রাহুল।
আইপিএলে দারুণ বোলিং করা আন্দ্রে রাসেল ১৯তম ওভারে বল হাতে আসেন। তার ওভারে ধোনি ও রাহুল মিলে ১৬ রান নেন। জয়টা তখন ভারতের হাতের নাগালে। কারণ, জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে তাদের প্রয়োজন ৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা মামুলি ব্যাপার।
বল হাতে আসেন ডোয়াইন ব্রাভো। তাকে খেলতে ধোনি ও রাহুলের বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। তার পাঁচ বলে কোনোমতে ৬ রান নিলেন ধোনি ও রাহুল। জয়ের জন্য শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন। ১ রান হলে ম্যাচ চলে যাবে টাইব্রেকার তথা সুপার ওভারে। স্ট্রাইকে ভারতের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ধোনি। তার উপর ভারতের সমর্থকদের আগাধ আস্থা। আর যাইহোক ধোনি ভুলচুক করবেন না।
ব্রাভো বেশ সময় নেন শেষ বলটি করতে। আস্তে আস্তে দৌড়ে স্লোয়ার ডেলিভারি দেন। সামান্য উঁচু হয়ে আসা বলটি ধোনি স্লাইস করে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার প্লেসমেন্ট ভালো হয়নি। বল চলে যায় থার্ডম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা স্যামুয়েলসের কাছে। আগেরবার ধোনির ব্যাট থেকে ঘূর্ণি বেগে আসা বলটি হাত ফসকে গেলেও এবার আর সেই ভুল করেননি স্যামুয়েলস। বলটি ঠাণ্ডা মাথায় তালুবন্দি করেন। অবশ্য বলটি ধরতে তাকে কোনো বেগই পেতে হয়নি।
দৌড় শুরু করে ধোনি হতাশায় মুষড়ে গেলেন। ডাগআউটে ভারতের খেলোয়াড়রা দাঁত দিয়ে নখ কাঁটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর ব্রাভো তার জনপ্রিয় গান ‘চ্যাম্পিয়ন’ এর ছন্দে নাচতে শুরু করলেন। কারণ, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তারা যে মাত্র ১ রানে জয় পেয়েছে। তাও আবার ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। টেস্টে যাদের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৪৫/২০ (লিউইস ১০০, চার্লস ৭৯; বুমরাহ ৪-০-৪৭-২)
ভারত : ২৪৪/২০ (রাহুল ১১০*, রোহিত ৬২; ব্রাভো ৪-০-৩৭-২ )
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : এভিন লিউইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
সিরিজ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।