বিনোদন ডেস্ক: নতুন মোড়কে আবার নির্মাণ করা হচ্ছে ‘দেবদাস’। আসছে ঈদের টেলিফিল্ম হিসেবে এটি নির্মাণ করছেন জাকারিয়া সৌখিন। আর প্রধান তিন চরিত্রে এবার দেখা যাবে অপূর্ব, মেহজাবিন ও মমকে। তবে পুরো গল্প এবার নির্মিত হবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে। আর তাই মূল গল্প ঠিক রেখে সবকিছুতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন স্বাদের এই ‘দেবদাস’-এর নাম রাখা হয়েছে ‘জলসাঘর’। চরিত্রগুলোর নামও পাল্টে গেছে। দেবদাসের নাম রাখা হয়েছে পবন, পার্বতীর নাম অবনি আর চন্দ্রমুখীর নাম চারুলতা। এ ব্যাপারে নির্মাতা বলেন, ‘দেখুন, দেবদাসের মতো প্রেমের উপন্যাস কখনো পুরোনো হয় না। গল্পের মূল বিষয়টি সব সময়ই নতুন। তাই বর্তমান সময়ে গল্পটিকে ভেবেছি। আর বর্তমান সময়কে প্রাধান্য দিতে গিয়েই অনেক কিছু পাল্টে গেছে। কিন্তু গল্পের মূল আবেগ ঠিক আছে।’
‘জলসাঘর’ টেলিছবিতে দুটো বিষয় নিয়ে কাজ করা হয়েছে। দেবদাস বা পবনের সম্পর্কের ধরন এবং তার জীবন। দেবদাসের সঙ্গে পার্বতী ও চন্দ্রমুখীর সম্পর্কটা আসলে ‘ব্যথা’র। সে কারও সঙ্গেই ‘সুখে’র সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি, গড়েছে ব্যথার সম্পর্ক। আর এ কারণে তার জীবনটাও জলসাঘরের মতোই। ক্ষণিকের আনন্দ কিংবা বেদনার ঘোর,Ñতারপর সব শূন্য।
‘জলসাঘর’ টেলিছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, ‘অবশ্যই খুব কঠিন একটি চরিত্র। অনেক বড় অভিনেতারা এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আমি সেই একই চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছি, তাও বর্তমান সময়ে। অবশ্যই কঠিন। আমি চেষ্টা করব।’
মেহজাবিন অভিনয় করছেন পার্বতী বা অবনি চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘নির্মাতা যখন আমাকে প্রথম শেয়ার করেছিলেন বিষয়টি, বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। বর্তমান সময়ে হলেও মূল গল্প তো একই। সবাই সেভাবে বিচার করবে, দেখবে। তাই চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট।’
মম বলেন, ‘ভালো হবে আশা করি। আমার ভালো লেগেছে, চন্দ্রমুখীকে অনেক মানবিকভাবে নির্মাতা এবার উপস্থাপন করছেন। আসলে চন্দ্রমুখীর অনেক উদার একটি চরিত্র। মূল গল্পে কিংবা সিনেমাগুলোয় বিষয়টি নাচ-গানের ভিড়ে হারিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের প্রজেক্টে ঠিক উল্টোটা ঘটবে।’
প্রধান তিন চরিত্রে অপূর্ব, মেহজাবিন ও মমকে নেওয়ার বিষয়ে নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন জানান, টেলিভিশন নাটকে এ মুহূর্তে এই তিনজন বেশ জনপ্রিয়। দর্শকও তাঁদের ভালো অভিনয়শিল্পী হিসেবেই ভাবেন। আর চরিত্রের যে বুনন, সেখানে এঁরা তিনজনই বেশি মানানসই।
শিগগিরই ‘জলসাঘর’ টেলিছবির শুটিং শুরু হবে। আর এটি ঈদে বাংলাভিশনে প্রচারিত হবে।