পাইকগাছা ব্যুরো: পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভাটি চলছে যত্রতভাবে। মাংস বাজার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সিন্ডিকেটের দখলে, দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী। জানাযায়, পাইকগাছা পৌর সদরে মাংস ও মুরগী মার্কেট নামে দুটি মার্কেট রয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে তারা স্বেচ্ছাচারিতা ও সিন্ডিকেট করে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। যেখানে পূর্বের খাসী মাংস বাজারে ৮/১০ জনের নামে লাইসেন্স ছিল। সেখানে তারা কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলা দিয়ে হাসান ও কালাম নামের দুই ব্যক্তির নামে মাত্র দুটি লাইসেন্স করে সকলেই এক সাথে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসা করছে। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অপর দিকে ক্রেতারা যাচাই বাচাই করে মাংস খরিদ করতে ব্যর্থ হয়ে চড়াদামে খরিদ করছে। কারণ একাধিক ব্যক্তির লাইসেন্স না থাকায় সম্মিলিতভাবে এক টেবিলে একই দোকানে প্রতিদিন ৩০/৪০ টি খাসী জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে রুগ্ন বা ভেড়া বিক্রি হচ্ছে কিনা যাচাই করার কোন উপায় নাই। ঠিক গরুর মাংস মার্কেটের চিত্র একই। আগে যারা গরু জবাই করতো এমন একাধিক ব্যক্তি একই সাথে জাকিরের নামের একটি মাত্র লাইসেন্সে গরুর মাংস বিক্রয় করে চলেছে। মাংস বিক্রি করা এই সিন্ডিকেটের কারণে ক্রেতারা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। কয়েকবার আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ ব্যাপারে বক্তব্য থাকলেও কার্যত: কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। যেকারণে তাদের দৌরাত্ব বেড়েই চলেছে। আবার গরু বা ছাগল জবাই করার কোন নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় ধর্মীয় বিধান না মেনে যেখানে সেখানে নোংরা পরিবেশে গরু ছাগল জবাই করা হচ্ছে। আর মলমূত্র ফেলানো হচ্ছে পাশেই। যেকারণে দূর্গন্ধে সামান্য বাতাস হলেই বাজারে থাকা কঠিন হয়ে যায়। এছাড়া রয়েছে, মুরগী বাজার যেখানে প্রতিদিন শত শত মুরগী বিক্রয় হয়। উক্ত মুরগী জবাই পূর্বক পরিস্কারের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে দুটি অবৈধ স্থাপনা। যেখানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মুরগী জবাই করে পরিস্কার পূর্বক প্যাক করা হয়। আবার পৌর কর্তৃপক্ষ বাজারের মাংস মার্কেট ইজারা দিলেও নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থানে মুরগী জবাই করে খোলা আকাশের নিচে বিক্রয় করছে। এতে এক দিকে যেমন মাংসে ধুলা বালি যুক্ত হচ্ছে তেমনি ইজারাদাররাও বঞ্চিত হচ্ছে ইজারা থেকে। শিবসা ট্রলার ঘাটের প্রবেশ দ্বার, তেল পাম্পের পাশে, সিনেমা হলের সামনে, বাসষ্ট্যান্ড সহ কয়েকটি স্থানে আইন বহির্ভূত ছাগল ও মুরগী জবাই করে বিক্রয় করায় তাদের নিকট থেকে ইজারা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। স্যানিট্যারী ইন্সেপেক্টর উদয় মন্ডল জানান, আমি স্বচ্ছ পরিবেশের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পৌরবাসী সরকারি বিধি মোতাবেক মাংস মার্কেটের সিন্ডিকেট ছাড়াই স্বচ্ছ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট