কে এম রেজাউল ইসলাম : দেবহাটায় এবছর আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষন ও ঝড়ের কারনে আমের মুকুলের ক্ষতিসাধন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বলে আম ব্যবসায়ীরা জানান। সূত্র মতে জানা গেছে, এবছর দেবহাটা উপজেলার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হচ্ছে। আর এই ৩৬৮ হেক্টর জমির মধ্যে ৪৭৫ টি আমের বাগান রয়েছে। এসকল বাগানে বোম্বাই, হিমসাগর, আ¤্রপালি, গোলাপখাস, গোপালভোগ, ক্ষিরসরাই সহ বিভিন্ন জাতের আম চাষ করা হচ্ছে। প্রতিবছর এসকল বাগানে আম চাষ করা হলেও এবছর আম চাষে অনেক বেশী চাষী উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা ঢাকার ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে দাদনের মাধ্যমে টাকা নিয়ে বাগান মালিকের নিকট থেকে অগ্রীম টাকা দিয়ে আম বাগান কিনে রাখছে। আর এক্ষেত্রে এক ব্যবসায়ী আর এক ব্যবসায়ীর তুলনায় টাকা বেশী দিয়ে আম বাগান কেনার চেষ্টা করে। দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার আম অধিকাংশই ঢাকা, চিটাগাং নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এবছর ২/১ জন ব্যবসায়ী এখানকার আম রাজশাহী নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দেবহাটায় আমের ফলন মোটামুটি ভাল হয়েছে। আমের বাজারজাতকরন সহ নানারকম পরিচর্যায় চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার আম এখন ইউরোপেও রপ্তানী হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউরোপে সাতক্ষীরার আম ব্যাপক সাড়া জাগানোর ফলে এবছরও আম ইউরোপে রপ্তানী হচ্ছে। বিশেষ করে এখানকার মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের অনুকূল হওয়ায় অন্যান্যর অঞ্চলের আমের তুলনায় এ অঞ্চলের আম খেতে বেশী সুম্বাদু। তাই গত ৪ বছর যাবৎ এ অঞ্চলের আম ইউরোপে রপ্তানী হচ্ছে। দেবহাটার সুশীলগাতী গ্রামের আম ব্যবসায়ী শিবলু জানান, তিনি প্রতিবছর আমের বাগান কিনে ব্যবসা করেন। তার কামটা, দেবহাটা, সুশীলগাতী ও টাউনশ্রীপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান কেনা আছে। গতবছরের তুলনায় এবছর আমের ফলন ভাল হয়েছে তবে ঝড়ে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। দেবহাটা সদরের আম ব্যবসায়ীদের নেতা ঝন্টু কুমার দে বলেন, এবছর ব্যবসায়ীরা আম দেশের বাজারে দেয়ার পাশাপাশি বাইরে পাঠাচ্ছে। তিনি এবছর সকল ব্যবসায়ী মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্র মতে, এবছর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সাতক্ষীরার প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন আম ইউরোপে রপ্তানী করা সম্ভব হবে।
দেবহাটায় এবছর আমের বাম্পার ফলন
পূর্ববর্তী পোস্ট