আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জলবণ্টন সুষ্ঠুভাবে সমাধান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তা একান্ত প্রয়োজন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিল, মমতার সঙ্গে হাসিনার বৈঠকের মূল কারণ ছিল সেটাই। কিন্তু বৈঠকের পর উভয়েই এ বিষয়ে চুপ। তিস্তা নিয়ে কেউই মুখ খুললেন না। স্রেফ জানালেন এটা একান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ। উভয়ের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
শনিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মমতা বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। কলকাতায় ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ হবে। অরবিন্দ ভবনেই মূলত এটার একটা জায়গা নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই তৈরি হবে বঙ্গবন্ধু ভবন।
শেখ হাসিনাকে ডি. লিট ডিগ্রি দেওয়া প্রসঙ্গে মমতা বলেন, তাকে ডি. লিট ডিগ্রি দিতে পেরে আমরা গর্বিত। আজকের মিটিং খুব ভালো হয়েছে। সবকিছু পজেটিভ এটাই বলতে চাই, এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।
ব্যবসায়িক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর জন্য মিটিং হয়েছে। দুই দেশের অর্থাৎ দুই বাঙলার মানুষজন সুখে থাকতে পারে সে বিষয়ে আলাপ হয়েছে।
তিস্তা নিয়ে মমতা বলেন, এ বিষয়ে এখনই কিছু আলোচনা করতে চাই না প্রকাশ্যে। কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই বৈঠকে তিস্তা জল বণ্টন নিয়ে আলোচনা হওয়ার যেমন সম্ভাবনা ছিল, তেমনই পদ্মার ইলিশের রপ্তানি বিষয়ক আলোচনাও হবে, মনে করা হয়েছিল। দুই বাংলার মধ্যে কোন পথে সমাধান সূত্র মিলতে পারে তা নিয়েও নানা জল্পনাও শুরু হয়েছিল, তবে বৈঠক শেষে কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুললেন না।
প্রায় ৪০ মিনিট ধরে কলকাতার হোটেল তাজবেঙ্গলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার আগে মমতার আতিথেয়তায় প্রশসাংয় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তারপর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট সম্মানে ভূষিত করে। তারপর সকলেরই চোখ ছিল মমতার সঙ্গে তাঁর বৈঠকে।
দু দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার (২৫ মে) কলকাতা গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অংশগ্রহণ করেন এবং শনিবার পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধিতে ভূষিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ উপাধি তিনি দুই বাংলার বাঙালিদের উৎসর্গ করেছেন।