পাইকগাছা ব্যুরো: পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভাটি চলছে যত্রতভাবে। পৌর সদরের শহর রক্ষা বাঁধ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ময়লা আর্বজনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গার (ডাস্টবিন) অভাবে দুর্গন্ধে পৌরবাসী অতিষ্ট। দেখার কেউ নেই, কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবি। জানাযায়, খুলনা জেলা হতে ৬৬ কিলোমিটার দক্ষিণে পাইকগাছা পৌরসভা দীর্ঘদিন ধরে অত্র এলাকার লাখও জনতা পাইকগাছাকে সুন্দরবন জেলার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। যার ফল শ্রুতিতে ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সাংসদ এ্যাড. শেখ মোঃ নুরুল হকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাইকগাছাকে পৌরসভা ঘোষণা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সময় উতরীয়ে প্রায় ২০ বৎসর পার হলেও এখনও পর্যন্ত পৌরসভার (গাইডওয়াল) শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হয়নি। অথচ, পৌরসভার তিন পাশেই রয়েছে শিবসা নদীও কপোতাক্ষ নদ। প্রতিনিয়ত উপচে পড়া জোয়ারের পানি শহরে প্রবেশ করে অলিগলি তলিয়ে যায়। পৌর নির্বাচনের পূর্বে প্রার্থীরা শহর রক্ষা বাঁধের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আবার পৌর সদরের পাশে ময়লা আর্বজনা নষ্ট করার ডাম্পিং না থাকায় পৌর সদরের বাজার সংলগ্ন নদীর পার্শ্বে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দূর্গন্ধে বাজারের ব্যবসায়ী সহ সকলের চলাফেরা কষ্ট হয়ে পড়ে। এক পর্যায় সকলকে নাকে রুমাল দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এমনকি ব্যবসায়ীরাও নাকে রুমাল বেঁধে দোকানে বসে। সুইপারদের ময়লা ফেলার সুযোগে নদীর পার্শ্বে গরু ছাগল হাঁস মুরগী জবাই করে তার মলমুত্র ফেলে। এযেন দুর্গন্ধের নরকে পরিনত হয়েছে। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ তৈরি করার কারণে বাজার থাকে সব সময় অপরিচ্ছন্ন। মাংস মার্কেট, কাঁকড়া ডিপো মার্কেট, স্বর্ণপটিতে জোয়ারের সময় ড্রেন দিয়ে নদীর পানি উঠে তলিয়ে যায়। অনেক ড্রেনের পাট না থাকায় নদী হতে ময়লা আর্বজনা বাজারে প্রবেশ করে। তখন বাজারের রাস্তায় জনগণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সব কিছুই মিলে পৌর সদর চলছে হ-য-ব-র-ল ভাবে। পৌর কর্তৃপক্ষ নিরব। উপরোক্ত সমস্যাগুলি নিরসনের জন্য পৌরবাসী মেয়র মহোদয়ের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট