নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ায় এক প্রভাবশালী পৌর কাউন্সিলর ও ঘের ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম দূর্ভোগে বসবাস করতে হচ্ছে শতাধিক পরিবারের সদস্যদের।
ব্যবসায়ীক স্বার্থে বসবাসকারীদের যেন কোন মূল্যই নেই। এমনটিই অভিযোগ করেছেন কাটিয়াস্থ গদাই বিল এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, ইচ্ছামত নিয়ম বর্হিভূত অপরিকল্পিত মৎস্যঘের তৈরি করে। এরপর উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে পৌরসভার রাস্তা ছাড়া ঘেরের ভেড়ীবাধ অত্যন্ত উচু করেছে। যাতে আমাদের চলাচলের রাস্তা পরিণত হয়েছে খালে। রাস্তার দুই ধার উচু থাকার কারণে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির উপর প্রায় বুক সমান পানি জমে। এতে করে বর্ষা মৌসুমে আমাদের চলাচলে চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। এছাড়া তাদের ঘেরের ভেড়ী দিয়ে যেন মানুষ চলতে না পারে সে কারণে ওই ভেড়ীর উপর মরা সাপ, কাটা ইত্যাদি ছড়িয়ে রাখে। ফলে আমাদের বর্ষা মৌসুমে প্রায় অর্ধনগ্ন হয়ে যাতায়াত করতে হয়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ওই কাউন্সিলরসহ ঘের মালিকরা আমাদেরকে মারপিট করে এবং নাশকতাসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলার ভয়দেখিয়ে দমিয়ে রাখে।
তারা আরো বলেন, ওই মৎস্য ব্যবসায়ীরা রাস্তার ধারে কয়েকটি পাকা হাউজ স্থাপন করেছে। ওই হাউজে মাছের খাবার মিশিয়ে দেওয়ায়। এসময় ওই খাদ্যে তীব্র গন্ধে অত্র এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সেখানে টিকে থাকায় দায় হয়ে পড়ে। এছাড়া অত্র এলাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রায়। ফলে বর্ষা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সুপেয় পানি নিয়ে পান করতে হয়। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর কে জানালে তিনি আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে রুপান্তর হয় না।
অন্যদিকে অত্র এলাকার পানি গদাই বিলের উপর দিয়ে বেতনানদীতে যাওয়ার একটি খাল সেখানে রয়েছে। মাছখোলা এলাকার জনৈক মেম্বর ও তার লোকজন ওই খালে পাটা দিয়ে দখল করে মৎস্য চাষ করে এবং বেতনানদীর স্লুইজ গেটটি বন্ধ করে রাখে। এবিষয়ে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তা সম্ভব হয়নি। এছাড়ার পর পর দুইদিন তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে এলাকাবাসী অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃকপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।