দেশের খবর: সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসনকেন্দ্রে (সিআরপি) অভিযান চালিয়ে বিলাসবহুল ১১টি গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে গাড়িগুলো জব্দ করা হয়। বুধবার (৪ জুলাই) বিকালে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি দল অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলো জব্দ করে। এগুলোর আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো সহিদুল ইসলাম জানান, যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) নামে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ১৯টি গাড়ি দুই বছর আগে সিআরপির গ্যারেজে রাখা হয়। এরমধ্যে দুই দফায় ৮টি গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হলেও বাকিগুলো শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে রাখা হয়।
সিআরপির বরাত দিয়ে তিনি জানান, অনেক আগে সিআরপির বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করেছিল ডিএফআইডি। সেই সুবাদে ২০১৬ সালের ২৭ জুন ৬ মাসের জন্য ডিএফআইডি গাড়িগুলো রেখে যায়। তারপর সংস্থাটি দুই দফায় ৮টি গাড়ি সরিয়ে নিলেও বাকিগুলো নেয়নি।
সিআরপির হেড অব সাপোর্ট সার্ভিস শহিদুর রহমান শুল্ক গোয়েন্দাদের জানান, গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য বহুবার সিআরপি থেকে ডিএফআইডিকে ইমেইল করা হলেও তারা সাড়া দেয়নি।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো সহিদুল ইসলামেরর তত্ত্বাবধান অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী মুহম্মদ জিয়া উদ্দিন। জব্দ গাড়িগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কাস্টমস আইন অনুসারে, শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কেউ কোনও গাড়ি ব্যবহার করলে পরে ওই কর্মকর্তার পদবি পরিবর্তন হলে বা অন্য কোনও সংস্থায় যোগদান করলে পুরনো কাস্টমস পাসবুক জমা দিয়ে নতুন করে পাসবুক গ্রহণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে পুরনো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করা যাবে না।
কাস্টমস আইন-১৯৬৯ এর ৭ ধারা অনুসারে, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ির বিষয়ে এনবিআরকে জানাতে হয়। গাড়ি হাত বদল করলে যাবতীয় শুল্ক-কর সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়।