বিদেশের খবর: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর নিপীড়নের ঘটনাকে ‘সাম্প্রতিককালের ভয়াবহতম জাতিগত-ধর্মীয় নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে বর্ণনা করে বর্বরতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার উপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ‘আধুনিক ধর্মীয় স্বাধীনতা’ বিষয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেন, মিয়ানমারে নিপীড়নের কারণে বাংলাদেশ অভিমুখে যে শরণার্থীর ঢল নেমেছে, তা সাম্প্রতিককালের ভয়াবহতম জাতিগত-ধর্মীয় নিধনযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।
“এই শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে এবং প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে সহায়তা করে বাংলাদেশ যে ভূমিকা পালন করেছে, তা সত্যিকারের ত্রাণকর্তার এবং এটাই বাংলাদেশের সামগ্রিক উদারতার পরিচয়।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং উদার, অংশগ্রহণমূলক ও আন্তঃসাম্প্রদায়িক সামাজিক কাঠামো বিনির্মাণে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন মাহমুদ আলী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্বরোচিত দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে, সম্মানজনকভাবে মিয়ানমারে ফিরতে পারেন, স্থায়ী নাগরিকত্ব পান, তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
মাইক পম্পেও ছাড়া আন্তর্জাতিক ধর্মীয় ফোরামে (আইআরএফ) নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাকের সভাপতিত্বে এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।
বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীসহ ৮০ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নেন, যাদের মধ্যে ছিলেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতারাও।