কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় সম্পতির শরিক ফাঁকি দিয়ে মৃত্যেুর ৪০ঘন্টা পর অবশেষে সমঝোতার মাধ্যমে দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো আটকে থাকা এ্যাড ইয়ার আলীর লাশ। সোববার ভোর রাতে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর খুলনা একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেলেও মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত লাশ দাফন করা সম্ভাব হয়নি পারিবারিক বিরোধের কারণে। সমঝোতা না হওয়ায় পর্যন্ত এ্যাড ইয়ার আলীর লাশ তার নিজ বাড়ি উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের মধ্যে সোমবার রাতে প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তার সন্তানরা আটকে রেখে কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেনের জিম্মায় দিয়ে দেয়। লাশ দাফন করতে না পারায় সেটা ফুলে ফেপে র্দূগন্ধে পরিনত হয়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েন। এমন জঘন্য ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোপের সৃষ্টি হয়। মুহুত্বের মধ্যে এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে তার মুখরীচ সংবাদে পরিনত হয়। ধিক্কার জানায় এলাকাবাসী নিহত পরিবারের লোকজনের উপর। কলারোয়ায় ইতিহাসে এই প্রথম কোন নাটকীয় নেক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিলো এ্যাড ইয়ার আলীর ২য় পক্ষের স্ত্রীর পরিবার। স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড ইয়ার আলী ছিলেন ব্যাপক ক্ষমতাধর ব্যাক্তি ও সরকারী ওকিল। ধড়াকে সড়া মনে করে যা ইচ্ছা খুশি তাই করতেন তিনি নিজেই। কোন কিছু তোয়াক্কা করতেন না তিনি। সাংসারিক জীবনে সচ্ছলতা থাকলেও দুটি স্ত্রীকে নিয়ে বসাবাস করতেন ইয়ার আলী। প্রথম স্ত্রীর জোহরা খাতুনের পক্ষে ৬/৭ জন ছেলে মেয়ে থাকার কারনে আবার ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুনকে বিয়ে করেন। ২য় স্ত্রীর ঘরে ছেলে/ মেয়ে থাকা ও অগাত সম্পতি থাকার কারণে সাংসারিক জীবনে নেমে আসে অশান্তি। প্রথম স্ত্রী জোহরা খাতুনকে বাদ দিয়ে ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুন এবং তার ছেলে মেয়ের নামে ২৬ বিঘা ভিটে বাড়িসহ সম্পতি গোপনে লিখে দেন এ্যাড ইয়ার আলী। তাছাড়া এলাকায় নীরিহ লোকজনের জমি কব্জা করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজেই জাল দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে অসহায় গ্রামবাসীদের করেছেন গৃহহারা। গত ৭বছর আগে এ্যাড ইয়ার আলী প্রথম স্টোকে অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কামরুল হাজীর ইট ভাটার কাছ ৬ বিঘা জমি জোর করে লিখে নেন ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুন ও তার সন্তানরা। সেই জমি কামরুল হাজীর কাছে ৬৯ লক্ষ টাকায় গোপনে বিক্রি করে দেন ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুন ও তার ছেলে প্রিন্স। প্রথম স্ত্রীর শ্বশুর নূর আলী মন্ডলের দেড় বিঘা জমি ও নিহত ইয়ার আলীর ছোট বোন সুফিয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করার পর বাপের দেয়া সম্পতি জোর পূর্বক লিখে নেন এ্যাড ইয়ার আলী। ইয়ার আলী অসুস্থ হওয়ার পর সেই জমি মুহুরীর মাধ্যমে ইয়ার আলী লিখে নিয়ে ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুন ও তার সন্তানদের নামে লিখে দেন। এমনকি ভাই হাজী মোকসেদ ও প্রথম স্ত্রী, সন্তানদের পক্ষের কোন জমি জমা না লিখে দিয়ে ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুন ও তার সন্তানরা ভিটে বাড়িসহ ২৬ বিঘা সম্পতি অসুস্থ ইয়ার আলীর কাছ থেকে জোর করে লিখে নেন ২য় সন্ত্রীসহ সন্তানরা। ছোট ভাই মোকসেদ হাজীর নিজের ভিটে বাড়ি অন্যায় ভাবে লিখে নেয় ইয়ার আলী। যদি কেহ এ্যাড ইয়ার আলীর অমতের বাহিরে গেছেন তাহলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাতেন তিনি। এলাকাবাসীর অনেক সম্পতি ইয়ার আলী জোর করে লিখে নিয়ে হয়েছেন সম্পতির স্বর্গরাজ। যারা ইয়ার আলীর বিরুদ্ধে গেছেন তাদের দেয়া হয়েছে মিথ্যা মামলা। বাদ যায়নি পরিবারের লোকজনও। সেই সম্পতির ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ইয়ার আলীর লাশ ৪০ ঘন্টায় দাফন করা সম্ভাব হয়নি। অবশেষে মৃতে্যুর ৪০ ঘন্টা পর স্থানীয় কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেনসহ এলাকার সূধীজনের উপস্থিতিতে ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুন ও তার ছেলে প্রিন্স ৩০০ টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর করে সমঝোতার মাধ্যমে ছোট ভাই মোকসেদসহ প্রথম স্ত্রীর জোহরা খাতুন ও তার সন্তাদের ৮ বিঘা সম্পতি দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে লাশ দাফন করার সিদ্ধান্ত হয়ে কবর খুঁড়ে জানাযা নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়। তবে বিষয়টি দুই পক্ষকে একত্রিত করে অতিদ্রুত সমাধান করা হবে বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন সংবাদিকদের জানান।
কলারোয়ায় ৪০ ঘন্টা পরে এ্যাড ইয়ার আলীর লাশ দাফন সম্পন্ন
পূর্ববর্তী পোস্ট