দেশের খবর: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের (১৬) বাসায় গিয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। এসময় শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নৌমন্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যায় মিমের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান শাজাহান খান। সেখানে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির এবং অন্যান্য স্বজনদের সান্ত্বনা দেন। এসময় নিহত মিমের সহপাঠীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মিমের বাবা জাহাঙ্গীর ফকির বলেন, ‘নৌপরিবহনমন্ত্রী বাসায় এসে আমাদের সান্ত্বনা দেন। আমি তাকে বলেছি রাস্তায় যেসব অদক্ষ ড্রাইভার আছে তাদের লাইসেন্স ক্যান্সেল ( বাতিল) করেন। লাইসেন্স চেক করেন। রাস্তায় চলাচল করার ফিটনেসবিহীন বাসগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এসময় মন্ত্রী এসব করবেন বলে আশ্বাস দেন। এমনকি এগুলো নিয়ে বুধবার মিটিং করা হয়েছে বলেও আমাকে জানান।’
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান কি বলেছেন- এর উত্তরে মিমের বাবা বলেন, ‘মন্ত্রী বলেছেন, সেদিন অন্য একটা বিষয় নিয়ে কথা হাচ্ছিল। সেসময় আমি (মন্ত্রী শাজাহান খান) হাসছিলাম। দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করায় উত্তর দেওয়ার সময় সেই হাসিটাই ছিল। আমি তখনো জানতাম না ঘটনাটা। বুঝতেও পারিনি। তারপরও আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। সকল শিক্ষার্থীদের কাছেও ক্ষমা চাই।’
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরের দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়।
নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।
এর কিছুক্ষণ পরই এক সংবাদ সম্মেলনে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় পরিবহন শ্রমিকদের নেতা শাজাহান খানকে। সেসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ ভারতে এক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা গিয়েছে, সেটা নিয়ে সেদেশে কোন হৈ চৈ নেই। অথচ আমাদের দেশে কিছু হলেই আলোচনা শুরু হয়।’ পুরো প্রশ্নোত্তর পর্বে তাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে, এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি। উল্লেখ্য, বাসচাপায় প্রাণহানির ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করছেন নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের (মিম) বাবা জাহাঙ্গীর আলম।
নিহত দিয়ার বাড়িতে গিয়ে কেঁদে এলেন শাজাহান খান
পূর্ববর্তী পোস্ট