বিদেশের খবর: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গঠিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ রাখাইন পরিদর্শনে যাবে এই মাসে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এই সফর করা হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবকে উদ্ধৃত করে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এখবর জানিয়েছে। ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর রাখাইনে এটাই উভয় দেশের প্রতিনিধিদের প্রথম সফর।মঙ্গলবার ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ নির্মাণে মিয়ানমার কী পদক্ষেপ নিয়েছে আমরা তা দেখতে চাই। তারা কী ধরনের বাড়ি তৈরি করেছে এবং রোহিঙ্গাদের বাণিজ্য ও ভূমির জন্য কী করছে তাও আমরা দেখতে চাই। ফেরার আগে আমরা তাদের ব্রিফিং শুনব। যাতে করে করে আমরা বলতে পারি তারা কী ধরনের কাজ করেছে এবং তা যথেষ্ট কিনা।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ৩০ সদস্যের একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে গত বছর ডিসেম্বরে। এই ওয়ার্কিং গ্রুপের মূল লক্ষ্য রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করা।
এ বছরের মে মাসে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপটি দ্বিতীয় বৈঠকে ঢাকায় মিলিত হয়। এতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন শহিদুল হক ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ইউ মুইন্ট থাই। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে এই গ্রুপের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, যৌথ সফরটি দুই-তিনদিনের হবে এবং ৯ বা ১০ আগস্ট শুরু হতে পারে। এতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ যোগ দেবেন।
শহিদুল হক বলেন, এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও নিরাপত্তার সঙ্গে প্রত্যাবাসনে সক্ষম হবো।
রাখাইন পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
পূর্ববর্তী পোস্ট