দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘যেভাবে শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছিল তার প্রতিদান তারা পেয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি সবাইকে ধর্য্য ধরতে বলেছিলাম। আমি চেয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। কিন্তু আন্দোলনের তৃতীয় দিন দেখি ব্যাগের ভেতর থেকে ছাত্রদের পোশাক বের করে অনেকে ছাত্র হয়ে যাচ্ছে। তারা ব্যাগের ভেতর থেকে দা, রামদা এগুলো বের করছে। দর্জির দোকানে স্কুল ড্রেস বানানোর ভিড় বেড়ে গেছে। তখন আমি চিন্তিত হয়ে পড়ি।’
রবিবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে আন্ডারপাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা।
গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় মিম ও রাজিব নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। আহত হয় আরও ১০ শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।
প্রতিষ্ঠানটির ওই দুই শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী তার অঙ্গীকার অনুযায়ী এ আন্ডারপাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র প্রদান করেছেন। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পাঁচটি বাসও হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছিল
পূর্ববর্তী পোস্ট