মোঃ রাসেল ইসলাম (যশোর)প্রতিনিধি: শার্শায় ভুল অপারেশনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এক প্রসূতি মা সাবিনা(৩০)। সে শার্শার শ্যামলাগাছী গ্রামের প্রবাসী জামাল উদ্দীনের স্ত্রী। পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, ১৯ শে জুলাই প্রসূতি সাবিনার প্রসববেদনা উঠলে নাভারন সেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়। ক্লিনিক কত্রিপক্ষ তাকে তড়িঘরি করে সিজারিয়ান করে এবং একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। ২৪ শে জুলাই তাকে ছাড় পত্র দেয়। বাড়ি ফেরার পর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। ও সময় ক্লিনিক কত্রি পক্ষের সাথে রক্তক্ষরণ বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারা বলে এরকম কিছুদিন হবে পরে ঠিক হয়ে যাবে। এর পরথেকে দিন দিন অবস্থার অবনতি হলে সাবিনার পরিবার তাকে যশোর নোভা ক্লিনিকে ভর্তি করে।সেখানে পরিক্ষা নিরক্ষা চালালে পেটের ভিতরে শিশুর অবশিষ্ট ফুলের অংশ আছে বলে রিপোর্টে জানা যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেখানে দুই ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।
সেখানেও সাবিনার উন্নতি না হয়াই বাড়ি ফিরে এসে পুনরায় যশোর সদর হাসপাতাল ও কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে পেটের ভিতর শিশুর অবশিষ্ট ফুলের অংশ আছে বলে জানা যায়। বর্তমানে সাবিনা কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিনিয়ত তার উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে একের পর এক রক্ত দিতে হচ্ছে। বর্তমানে এতেও তার উন্নত না হয়াই অবনতির দিকে যাচ্ছে সাবিনা। যন্ত্রণায় ছটফট করছে সাবিনা। এ ব্যাপারে সাবিনার পাশে থাকা শাশুড়ির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উপরোক্ত তথ্য গুলি বর্নণা করেন। যার ভয়েস রেকর্ড কৃত আছে।
সর্বশেষ পহেলা সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতালের বেডে থাকা সাবিনার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বিষয় টি পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি আরো জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে চাপের মুখে থাকতে হবে। এজন্য বিষয়টি গোপন করার জন্য এড়িয়ে যেতে বলেন। এ ব্যাপারে সাবিনার ছাড়পত্রে লিখিত ডাক্তার এ,বি,এম আক্তার মারুফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাবিনার সিজারিয়ান করিনাই। বিষয়টি আমার জানা নেই।