দেশের খবর: ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি তুলে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, বর্তমানে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড়ে খরচ হচ্ছে ৬ টাকা ২০ পয়সা করে, বিক্রি হচ্ছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা করে। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন। সবাইকে এ সেবার আওতায় আনতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ সুযোগ আর থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়ায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। এ সময় বিদ্যুতের অপচয় রোধ সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
‘দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছিল। আমরাই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করেছিলাম।’
‘২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা ও লোডশেডিং-এ জনজীবন বিপর্যস্ত ছিল। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বিগত প্রায় সাড়ে ৯ বছর সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৯৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৩ হাজার ৮১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ১৪ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।’
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সকলের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।